গত ২৪ ঘণ্টায় করােনার থাবায় আক্রান্ত ২০১৩৬ জন। যা এখনও পর্যন্ত একদিনের নিরিখে সবচেয়ে বেশি। ইতিমধ্যে রাজ্যে মােট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। একদিনের করােনার বলি হয়েছেন ১৩৪ জন। মৃত্যুর সংখ্যা কমার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।
ফলে আতঙ্ক এবং উদ্বেগ দুই-ই বাড়ছে। কী করলে রেহাই মিলবে, জানে না কেউই। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ২০১৩৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা।
এখানে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৩৯৯৮ জন। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। এখানে ৩৯৭৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া। এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৯১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার ৩৯ জন রয়েছেন। ৩৭ জন কলকাতার বাসিন্দা প্রাণ হারিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মারা গিয়েছেন ১৫ জন। জলপাইগুড়িতে ৮। দার্জিলিং ও হুগলিতে ৭ জন করে, বীরভূম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪ জন করে, পুরুলিয়ায় ৩, বাঁকুড়া এবং হাওড়ায় দু জন করে করােনা আক্রান্ত রােগী প্রাণ হারিয়েছেন।
গত ১ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিন অনুযায়ী সারা দেশের মধ্যে করােনা সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে আছে বাংলা। এর আগে রয়েছে গােয়া ও পুদুচেরী। ভাইরাস রােগীর সংখ্যার বিচারে বাংলার স্থান নবমে। ১৩ টি রাজ্যে সক্রিয় রােগীর সংখ্যা ৯ লাখ মত।
বাংলায় করােনা ভাইরাসের সংক্রমণ-এর হার ৩৪ % মত। ২৭ টি রাজ্যে ২০ % মত সক্রিয় ভাইরাস করােনা রােগী রয়েছে। দেশের ৭৪১ টির মধ্যে ৩০১ টি জেলায় ২০ % মতাে করােনা রােগী রয়েছে। এই মুহুর্তে করােনায় সক্রিয় রােগীর সংখ্যা রাজ্যে ১ লাখ ২৬ হাজার মত। যা রীতিমতাে দুশ্চিন্তার কারণ বাংলার বুকে।