‘নির্বাচনে জোট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা বন্ধ হোক। একলা চলুক পার্টি’। জোরাল দাবি উঠল সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে। জোট বিরোধীদের দাবি, কংগ্রেসের হাত ধরে পার্টির কোনও লাভ হয়নি। প্রথমে কংগ্রেস লাভের গুড় খেয়ে যায়। বিরোধী দলের তকমা চলে যায় কংগ্রেসের কাছে। পরে পার্টি শূন্য হয়।
এর ফলে ক্ষতি সামাল দিতে জোট না করেই ভোটের ময়দানে লড়াইয়ের দাবি জেলা নেতৃত্বের। তবে পার্টির রাজনৈতিক লাইন এখনই বাতিল করা সম্ভব নয় বলে বৈঠকে জানান রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ভোট শেষ। জোট শেষ।
জানিয়েছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কিন্তু তারপরেও জোটের পক্ষে সওয়াল করছিলেন রাজ্য নেতারা। এবার জেলা থেকে আওয়াজ উঠল। জোট নয়। পুরভোটে একাই চলুক পার্টি।
আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, জোট নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা বন্ধের দাবিতে এদিন রাজ্য কমিটির বৈঠকে সরব হন জেলা নেতৃত্বে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে খানিক কংগ্রেসের লাইন নিতে বাধ্য হন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা।
রাজ্য সম্পাদক জানান যেহেতু তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী সব শক্তিকে একত্রিত করে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্টি, তাই এখন অবস্থান বদল সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়স্তরে সিদ্ধান্ত জেলা নেতৃত্বকেই নিতে হবে বলে জানান তিনি। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে সিপিএম এখন রীতিমতো দোটানায়।
গত রবিবারই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছিলেন, এর আগে যখন পুরভোটের কথা হয়েছিল, তখন কংগ্রেসের সঙ্গে ৯৫ শতাংশ আসনে বোঝাপড়া হয়েই গিয়েছিল তাঁদের। এবার সেই সমঝোতা অনুযায়ী ভোটে লড়া হবে কিনা, সেটা নিয়েই যত আলোচনা দলের অন্দরে।
বস্তুত দলের রাজ্য নেতৃত্বের অনেকে এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষে। কিন্তু অনেক জেলা নেতৃত্বই হাত ধরতে নারাজ। আবার পার্টির সম্মেলন প্রক্রিয়া চলছে। আগে ঠিক ছিল দার্জিলিং জেলা দিয়ে সম্মলন শুরু করে হাওড়া দিয়ে শেষ হবে।
কিন্তু পুরভোটের ঢাকে কাঠি পড়ায় সিদ্ধান্ত বদল করার পক্ষে রাজ্য কমিটি। ভোটের দিনক্ষণ দেখে জেলা নেতৃত্ব সম্মেলনের দিন স্থির করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর।