তৃণমূল প্রার্থীদের মনােনয়ন বাতিল করার জন্য চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন, বলে অভিযােগ তুলল তৃণমুল। শুক্রবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশন সব রকমভাবে চেষ্টা করছে আমাদের প্রার্থীদের মনােনয়ন বাতিলের। পুরুলিয়ার জয়পুরের প্রার্থীকে কাল হাইকোর্ট বলার পরেও থেমে থাকেনি।
আজ আবার ডিভিশন বেঞ্চে গেছে। আশা করি ডিভিশন বেঞ্চ বহাল রাখবে। পুরুলিয়ার জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্বল কুমারের মনােনয়ন বাতিল করে দিয়েছিল কমিশনে। ত্রুটিনির পর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই উজ্বল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বলে, মনােনয়ন পত্রে তারিখ ভুল ছিল। সেটা এমন কোনও বড় ব্যাপার নয়। মনােনয়ন গ্রহণ করার নির্দেশ দেয় আদালত। শুক্রবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে নন্দীগ্রামে মমতার উপর আক্রমণ’ নিয়ে স্মারকলিপি দেয় তৃণমূল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছিল শাসকদল। তা নিয়ে গতকাল রাতে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয় স্মারকলিপিতে কমিশনের বিরুদ্ধে যে ধরনের ইঙ্গিত ও মন্তব্য করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধেই তা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ও কর্মসূচি রয়েছে সবাই জানত। তারপরেও নির্বাচন কমিশন কি দায়িত্ব পালন করেছে? সেই প্রশ্ন আমাদের বরার থাকবে।
তিনি আরও বলেন, দু’জন বড় পদাধিকারীকে সরানাে হল। নিরাপত্তায় গলদ ছিল। তাই কমিশনের থেকে আমরা উত্তর চেয়েছি, কারণ আমাদের নেত্রীর উপর আক্রমণ হয়েছে।