জনতা কার্ফু’তে শহর কলকাতা ছিল শুনশান

জনতা কার্ফু (Photo by Dibyangshu SARKAR / AFP)

রবিবার ছুটির দিন ও জনতা কার্ফু ঘোষণায় রাজধানী শহর কলকাতা তার চেনা চিত্র হারায়। শহরের প্রধান প্রধান এলাকার রাস্তাগুলি ছিল একেবারে জনমানবহীন, দোকানপাট বন্ধ। কেবল ওষুধের দোকানগুলি ছিল খোলা। সেখানেও ক্রেতার সংখ্যা ছিল নগণ্য। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যার বৃদ্ধির খবর পাওয়ার পর প্রশাসনের তরফে রাজ্যের সকল পুরশহরগুলিতে লকডাউন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন। 

কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্যপ্রশাসনকে কলকাতা সহ দেশের ৭৫ জেলায় লকডাউনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তবে রাজ্য সরকার মনে করলে লকডাউনের এলাকা বাড়াতে পারে রাজ্য প্রশাসন।

ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব ও রাজস্থান করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে ট্রেনের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য বাসচলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মল ও দোকানপাট সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 


গুজরাতের আহমেদাবাদ, সুরাত, রাজকোট এবং ভদোদারা শহরে সম্পূর্ণভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে কেবল নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রি, ওষুধের দোকানগুলি খোলা রয়েছে।

প্রাত্যহিক কাজের জন্য যারা বাসে ভ্রমণ করেন তাদের ভিড় বাসে ভ্রমণে নিষেধ করা হচ্ছে। কারণ এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সরকারিভাবে এমন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, ১৩ ও ১৬ মার্চ দূরপাল্লার ট্রেনে ভ্রমণকারী বারোজন যাত্রীর করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার ঘটনা প্রকাশিত হয়।