বাবুঘাটে ফের পুণ্যার্থীদের কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

আগামী ১৪ জানুয়ারি গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান। ইতিমধ্যেই রাজ্যের নানা প্রান্তের গঙ্গাসাগরমুখী পুণ্যার্থীরা বাবুঘাটে ভিড় জমিয়েছেন। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে তবেই গঙ্গাসাগরে যান, পুণ্যস্নানের আগেই বাবুঘাটে গিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

এদিকে, এদিন বাবুঘাটের আগে সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বাসভবনেও যান তিনি।

গঙ্গাসাগর মেলা কমিটিকে উদ্দেশ্য করে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেশি লোক পাঠাবেন না। কলকাতা হাইকোর্টের কড়াকড়ি আছে। আদালতের নির্দেশমতো চলতে হবে।


যাঁরা গঙ্গাসাগরে যাচ্ছেন তাঁদের আরটি পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক। না হলে যাওয়া যাবে না। কোভিডবিধি মেনে চলুন। ডাল মাস্ক পরুন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মঙ্গলবার বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২১ হাজার ৯৮ জন। তার ফলে গোটা রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৩০ জন। পজিটিভিটি রেট ৩২.৩৫ শতাংশ।

করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিত্রনই যে এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা এদিন আরও একবার মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একমত হয়েই তিনি জানান, এই স্ট্রেনের মারণক্ষমতা কম ঠিকই।

তবে সংক্রমণ ক্ষমতা ততটাই বেশি। প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি ঘরে ঘরে সকলে করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন।

প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা মোকাবিলায় জীবন দিয়ে কাজ করছেন। এটা হইহুল্লোড় করার সময় নয়। যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁরা দয়া করে গঙ্গাসাগরে যাবেন না।

বিহার, উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যের মানুষ গঙ্গাসাগরে যাচ্ছেন। তাই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। গঙ্গাসাগর মেলা করা মুখের কথা নয়। যথেষ্ট কঠিন। সকলকে শান্তি বজায় রাখার আরজিও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, নানা টানাপোড়েনের পর শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে হাই কোর্টের সিদ্ধান্তে খুশি নয় চিকিৎসকমহল।