একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে রাজ্যে আসতে চান দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং হেমন্ত সােরেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভােটবাক্সে যাতে টান না পড়ে সেজন্য তারা এই রাজ্যে তাদের রাজনৈতিক দলের কোনও প্রার্থীও না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঠিক যেমন বিহারে তেজস্বী যাদবের রাজনৈতিক দল এবং শিবসেনারাও একুশের বিধানসভা ভােটে কোনও প্রার্থী দিচ্ছেন না।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক ইস্যুতে পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গত বছরের শেষে আইপিএস বদলির ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তেমনই আবার দিল্লিতে এনসিটি বিল এনে কেজরিওয়াল সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা করলে আম আদমি পার্টির সদস্যরা বিক্ষোভ দেখালে তাতেও সমর্থন জানিয়েছেন মমতা।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভাইয়া’ বলেই পরিচয় দেন। ‘দিদি’র ডাক পেলেই আম আদমির সদস্যদের নিয়ে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে আসতে চান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
একই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সােরেন। প্রথমে অবশ্য তিনি জঙ্গলমহলের আদিবাসী ভােটারদের লক্ষ্য করে এই রাজ্যে খাতা খােলার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরােধ সেই পথ থেকে সরে আসেন। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীও তৃণমূলের হয়ে এই রাজ্যে প্রচার করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন।