কার্শিয়াংয়ে প্রাতভ্রমণে খোশমেজাজে মুখ্যমন্ত্রী

পাহাড় সফরে গিয়ে জনসংযোগ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় বারো কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে ঘুরলেন। কথা বললেন স্থানীয়দের সঙ্গে। মাটির ভাড়ে চা কিনে খেলেন। চা খেতে খেতে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের গাওয়া গান শুনলেন। রাস্তার পাশের দোকান থেকে দু’জোড়া জুতো কিনলেন। যার মধ্যে একটি তার নিজের চপ্পল। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এক শিশুকে আদরও করলেন।

পাঁচদিনের সফরে উত্তরবঙ্গ গিয়ে পরপর দু’দিন প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার কার্শিয়াং-এর সার্কিট হাউসে রাত্রিবাস করেছেন তিনি। বুধবার বেলা একটু গড়াতেই হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।

প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে চলে আসেন মহানদী ভিউ পয়েন্ট গিদ্দায়। দু’বছর পরে তিনি কার্শিয়াংয়ে রাত্রিবাস করলেন। এই দু’বছরে পাহাড়বাসী কী পেয়েছেন কী পাননি৷ তা এলাকাবাসীদের কাছ থেকে নিজেই জেনে নেন তিনি। চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে খোশমেজাজে গল্প জুড়ে দিলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সেই আড্ডায় যোগ দিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।


সাধারণত মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে গিয়ে কখনও চায়ের দোকানে, কখনও রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে খোশমেজাজে কথাবর্তা বলেন। জেনে নেন তাদের সমস্যার কথা। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে এবারও তাই করলেন পাহাড়প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর এরকম ‘ঘরের মেয়ে’র মতো আচরণ দেখে আপ্লুত পাহাড়বাসী। উত্তরবঙ্গ সফরের চতুর্থ দিনে ও পাহাড় সফরের দ্বিতীয় দিনে বুধবার কার্শিয়াঙে প্রাতঃভ্রমণ বের হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকের পর কার্শিয়াং রাত্রিবাস করেন তিনি। এদিন সকালে প্রাতভ্রমণে বের হওয়ার সময় চা পান এর সঙ্গে সঙ্গীতের ভাব্লাতেও ডুব দেন মুখ্যমন্ত্রী ।

পর্যটন মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। নতুন নতুন ট্যুরিস্ট স্পটেরও সন্ধান করেন তিনি যাতে সেই সব স্থানকে পর্যটন মানচিত্রে যোগ করে পাহাড়ের পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে দেওয়া যায়। মঙ্গলবার পাহাড়ের উন্নয়নে কার্শিয়াংয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবারও তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন আলাপচারিতায় বরবারই পাহাড়ের আরও উন্নয়ন পাহাড়কে আরও কিভাবে ভালো রাখা যায় তারওপরই আলোচনা করেন। করোনার জেরে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প, পাহাড়ের চা শিল্প পিছিয়ে পড়েছে।

করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে পর্যটন এবং চা শিল্পে পাহাড় কিভাবে আবার ভালো ভাবে এগিয়ে যেতে পারে, কিভাবে অন্যান্য শিল্পেও পাহাড় এগিয়ে যেতে পারে তারওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।