বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট চলতি মাসে হচ্ছে এই রাজ্যে। তার আগে দেউচা পাচামি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে অংশ নিতে হাজির হয়েছিলেন ২০ জনের একটি দল।
নবান্নে তাঁদের মধ্যে সাদী হাঁসদার নেতৃত্বে ৯ জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। ভুল বোঝাবুঝি মেটাতেই মূলত এই সাক্ষাৎ। বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা এই প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে যাবে। জানা গিয়েছে, মহাসভার প্রতিনিধিরা বেশ কিছু দাবিদাওয়া রাখেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। যার মধ্যে অন্যতম হল মহাসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার এবং ক্ষতিপূরণ।
পাশাপাশি, পাথর খনি এলাকায় মাফিয়া চক্র যারা চালাচ্ছে তাদের গ্রেফতারের দাবিও করা হয়। ময়নামতীর সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছিল, তার বিচার চাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সব দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণের জন্য সেরা প্যাকেজই দেওয়া হবে। এদিন আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিবও। আন্দোলনকারীদের প্রকল্পের সমস্ত খুঁটিনাটি বুঝিয়ে বলেন মমতা।
দেউচা পাচামি খনি প্রকল্প হলে রাজ্য সরকার কী কী প্যাকেজ দেওয়ার কথা ভেবেছে, তা বিস্তারিত জানানো গোটা প্রকল্পটি শিল্পের ক্ষেত্রে কতটা বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রী বোঝান হয়। শুধু তাই নয়, ইতিবাচক, আন্দোলনকারীদের।
সেই তবে আন্দোলনকারীদের তরফে এই বৈঠককে স্বাগত জানানো হলেও একাংশ অবশ্য দাবি করেছে, তারা এই ধরনের প্রকল্প চায় না তারও উত্তর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আপনারা না চাইলে কিন্তু ওই এলাকায় যে পাথর খাদানগুলো রয়েছে সেগুলি বিপজ্জনক, ক্ষতিকর।’
আলোচনার পর তাই আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা কীভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়াতে চান, সে বিষয়ে লিখিতভাবে নবান্নকে জানাবে।