শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধনে একই মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল

Kolkata: West Bengal Governor Jagdeep Dhankhar addresses during a press meet at Raj Bhavan in Kolkata on Jan 29, 2020. (Photo: IANS)

রাজ্য সরকারের মেগা ইভেন্ট বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট-এর উদ্বোধনী মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে একই সঙ্গে দেখা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী গুজরাতে ব্যস্ত থাকবেন। সে কারণে তাঁর উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

গত বছর আগস্টে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাতে নরেন্দ্র মোদিকে শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।


তবে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত না থাকলেও, আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি অথবা তাঁর পুত্র করণ উপস্থিত থাকবেন।

জিন্দার গোষ্ঠীর সজ্জন জিন্দাল এবং রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ আম্বানির এই শিল্প সম্মেলনে উপস্থিত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

করোনার কারণে দু’বছর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।

এবার রাজ্য সরকার তাজপুরে প্রস্তাবিত সমুদ্র বন্দর ও দেউচা পাচামিতে কয়লাখনি প্রকল্পকে বিশদে তুলে ধরবে অতিথি শিল্পপতিদের সামনে।

দু’দিনের সম্মেলন শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে অতিথিদের নৈশ ভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও থাকছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও থাকবেন রাজ্যপাল। মোট ৰছুটি দেশের প্রতিনিধি এবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে।

এর মধ্যে ব্রিটেন, আমেরিকা, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, বাংলাদেশ, ভুটান, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফিনল্যান্ডের মতো দেশ রয়েছে।

বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারকে সাজানো হয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে। নতুন রঙের প্রলেপ পড়েছে মা উড়ালপুলে।

ব্রিটেন থেকে ৫০ জন শিল্পপতির একটি প্রতিনিধি দল এই শিল্প সম্মেলনে যোগ দিতে পারে।

এছাড়া আরবি মিত্তল, ওয়াইকে মোদি, হর্ষ নেওটিয়া, ওয়াইসি দেবেশ্বর, পুনীত ডালমিয়া, পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জি, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, নিরঞ্জন হিরানন্দানির মতো শিল্পপতিরাও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে টাটার লগ্নিতে বাঁকুড়ার বন্ধ শিল্পতালুক খুলতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।

পাঁচ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাঁকুড়ার দ্বারিকা শিল্পতালুকের কর্মহীন শ্রমিকরা আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। আড়াই হাজার শ্রমিক এখানে কাজ করতেন।