কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন বিজেপি’র বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রী। এর মধ্যে ছিলেন তারকা প্রার্থীরাও। এরই মধ্যে জানা গেল, বিজেপি’র পরাজিত হওয়া তারকা প্রার্থীদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী, পাপিয়া অধিকারী—এঁরা এবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন।
পাপিয়া অধিকারী, রুদ্রনীল ঘােষও এবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হবে বলে কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা আসে। সেই সঙ্গে এও বলা হয়, যদি নিরাপত্তা কেউ রাখতে চান, তাহলে তিনিই যেন আবেদন করেন।
কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ পরাজিত বিজেপি প্রার্থী নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য নতুন করে আবেদন করেননি। ১০ মে পর্যন্ত বিজেপির তারকা প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার মেয়াদ ছিল।
এদিকে, শনিবারই নাটাবাড়ি বিধায়ক মিহির গােস্বামী কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন। প্রথম থেকে নিরাপত্তা নিতে চাননি বালুরঘাটের বিধায়ক অশােক লাহিড়ি। রবিবার জানা গেল, উত্তরবঙ্গের আরও তিন বিধায়ক দল বললেও নিরাপত্তর জন্য নতুন করে আর আবেদন করেননি।
সিপিএম থেকে বিজেপিতে যােগ দেওয়া শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘােষ, শিখা চট্টোপাধ্যায় ও আনন্দময় বর্মন—এঁরা তিনজনই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিচ্ছেন না। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি থেকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবকে হারিয়ে বিজেপি’র টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন শিখা চট্টোপাধ্যায়।
মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির তরুণ বিজেপি’র বিধায়ক আনন্দময় বর্মন ৭৭ জন বিজেপি বিধায়কের মধ্যে চেয়ে বেশি মার্জিনে জিতেছেন। তিনি ৭০ হাজারেরও বেশি ভােটে জয়ী হয়েছেন। তিনিও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নতুন করে নিচ্ছেন না বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।