• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

রুজিরার সঙ্গে বাড়িতেই কথা হল সিবিআইয়ের

রুজিরার জবাবে তাঁরা সন্তুষ্ট কি না, সিবিআইয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত তা জানানাে হয়নি। বাড়ি থেকে বেরনাের পর সংবাদমাধ্যমে মুখ খােলেননি গােয়েন্দা দপ্তরের কেউ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Photo: SNS)

মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘন্টা কথা বলল সিবিআই আধিকারিকরা। কয়লা কাণ্ডে ব্যাঙ্ককের একটি ব্যাঙ্কে রুজিরার অ্যাকাউন্ট থেকে সন্দেহজনক লেনদেন নিয়ে রুজিরার বক্তব্য শােনেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, কথাবার্তা চলাকালীন নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের সদর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও লাগাতার যােগাযােগ রাখছিলেন গােয়েন্দারা। ক্লজিরা বেশ কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে গেলে ফোনে নিজাম প্যালেসের আধিকারিকদের তা জানান গােয়েন্দারা, বলে খবর।

রুজিরার জবাবে তাঁরা সন্তুষ্ট কি না, সিবিআইয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত তা জানানাে হয়নি। বাড়ি থেকে বেরনাের পর সংবাদমাধ্যমে মুখ খােলেননি গােয়েন্দা দপ্তরের কেউ। তবে ব্যাঙ্কের লেনদেন এবং নামধাম সংক্রান্ত সাধারণ প্রশ্নই রুজিরাকে জিজ্ঞেস করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। জানতে চাওয়া হয় তিনি কোনও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কি না।

রুজিরার নাগরিকত্ব এবং পাসপাের্ট সংক্রান্ত খুঁটিনাটিও সিবিআইয়ের প্রশ্ন তালিকায় উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। কয়লাকাণ্ডে রবিবার রুজিরাকে সিবিআই নােটিস দেবার পর সােমবার ইমেল পাঠিয়ে মঙ্গলবার সিবিআইকে কথা বলার জন্য সময় দেন রুজিরা। সেই মতাে মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদ অভিষেকের বাড়িতে পৌঁছন রুজিরার আইনজীবী।

তার ঘন্টা দেড়েক পর আচমকা সেখানে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মিনিট দশেক সেখানে ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হয়, নবান্নে যাওয়ার পথে মমতা সেখানে গিয়েছিলেন পরিবারের ‘অভিভাবক’ হিসাবে। মুখ্যমন্ত্রী ‘বা’ তৃণমূলনেত্রী হিসাবে নয়। বেরনাের সময় মমতাকে এগিয়ে দিতে তাঁর সঙ্গে এসেছিল অভিষেকের কন্যাও। অভিষেকের বাড়িতে ঢোকার সময় বা বেরিয়ে যাওয়ার সময় মমতা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।

ঘটনাচক্রে, মমতা অভিষেকের বাড়ি থেকে বেরনাের মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই সেখানে পৌঁছন। সিবিআই আধিকারিকরা তবে কেন্দ্রীয় গােয়েন্দারা রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বাড়ি পৌঁছনাের আগে, সােমবার রুজিরার নাগরিকত্বের বিষয়টি উস্কে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ।

এর আগে, লােকসভা নির্বাচনের আগেও অভিষেক ঘরণীর নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সেই সময় বিরােধী শিবির থেকে অভিযােগ ওঠে, ব্যাঙ্ককে জন্মগ্রহণ করায় রুজিরার কাছে তাইল্যান্ডের পাসপাের্ট রয়েছে।

কিন্তু একাধিক জায়গায় নিজেকে ভারতের নাগরিক বলে দাবি করেছেন তিনি। এমনকি প্যান কার্ডের আবেদনপত্র এবং বিদেশে বসবাসকারীদের ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নিজের বিয়ের যে শংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন রুজিরা, তাতে এক জায়গায় তাঁর বাবার নাম নিন নারুলা এবং অন্য জায়গায় গুরশরণ সিংহ আহুজা লেখা ছিল বলেও অভিযােগ ওঠে রুজিরার দ্বৈত নাগকিত্বের এই বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছিল আজও যার নিষ্পত্তি হয়নি। ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযােগে সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিদেশি নাগরিক দফতর থেকে রুজিরাকে শােকজও করা হয়।

প্রসঙ্গত, রুজিরাকে জেরার জন্য সিবিআই ৮ সদস্যের একটি বিশেষ দল তৈরি করেছে। তাঁকে কোন কোন বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে, তা ঠিক করতে সােমবারেই নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে আধিকারিকরা বৈঠক করেছিলেন বলে খবর।