তপন কান্দু খুনে প্রত্যক্ষদর্শীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

সিবিআই (File Photo: IANS)

ফের সিবিআই তদন্ত এর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এর এজলাসে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। পুরুলিয়ার ঝালদার কং কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা মামলার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এবার তদন্ত চালাবে সিবিআই।

এতদিন এই মামলার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি। তপন কান্দু খুনের মামলার পাশাপাশি নিরঞ্জন বৈষ্ণবের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলাও সিবিআই খতিয়ে দেখবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

আদালত মনে করছে, ‘দুটি মামলা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। তাই তদন্তভার একই সংস্থার হাতে থাকা উচিত’। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি পর্বে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার জানান, ‘নিরঞ্জন বৈষ্ণব অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।


তবে এদিন রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ‘এফআইআর দায়ের হয়েছে। সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। প্রতিবেশীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। ফরেনসিক আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে আসতে বলা হয়েছে’।

পেশায় গৃহশিক্ষক নিরঞ্জন বৈষ্ণব যে ছাত্রদের পড়াতেন, তাঁদের খাতাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সুইসাইড নোটের হাতের লেখার সঙ্গে ছাত্রদের খাতায় তাঁর লেখা মিলিয়ে দেওয়া হবে বলে রাজ্য এদিন কলকাতা হাইকোর্টকে জানায়।

এরপর বিচারপতি রাজশেখর মান্থার প্রশ্ন করেন, ‘সব মানা হচ্ছে। তবে এটা তো ঠিক নিরঞ্জনই তপন কান্দু মামলায় অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী। দুটো ঘটনা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই কারণে সিআইডি-র হাত থেকে এই তদন্তভার গেল সিবিআই-এর কাছে।

যেমন বগটুই কান্ডে ভাদু খুনে সিবিআই তদন্ত দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্ত দাবিতে রিট পিটিশন করেছিলেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ও ভাইপো মিঠুন কান্দু।

তাঁরা আদালতকে জানিয়েছিলেন ‘তপন কান্দু যেদিন হত্যা হন, সেসময় ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব। সেটা রাজ্য প্রশাসনও মানছে। তবে তাঁর মৃত্যুটাও অস্বাভাবিক। সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।’

কং কাউন্সিলার তপন কান্দুর মৃত্যুতে প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন পূর্ণিমা কান্দু। আদালতে আইনি লড়াইয়ে জিতেছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত করছে সিবিআই। তবে এরেই ঘটে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা।

সপ্তাহ দুয়েক আগে ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় নিরঞ্জনের। সেটা স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছিলেন নিহত কাউন্সিলর এর স্ত্রী তাই এই মৃত্যুরও তদন্ত যাতে সিবিআই-এর হাতে দেওয়া হয়, তার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।