বিগত বাম জমানায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ােগে সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বামেদের স্বজনপােষণের অভিযােগ তুলে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার ওই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ােগ বাতিল ঘােষণা করেছিল। তা আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপােব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চে বৈধতা পেল। গত ২০০৭ সালে বাম আমলে জেলা ভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ােগে বিজ্ঞপ্তি জারী হয়েছিল। ধাপে ধাপে নিয়ােগ প্রক্রিয়া চলছিল।
২০১১ সালে পালবদলের পর বাম আমলেও এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ােগ বাতিল ঘােষণা করে তৃণমূল সরকার। তবে তা মামলাকারীদের সৌজন্যে আদালতের আদেশে কিছু ক্ষেত্রে নিয়ােগ চলেছে। তবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা সহ হাওড়া জেলায় নিয়ােগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ২০১৭ সালে দায়ের করা হাইকোর্টের মামলায় এদিন বিচারপতি তপােব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চে আগামী ৩০ দিনের মধ্যেই নিয়ােগ প্রক্রিয়া শেষ করবার নির্দেশ জারি হলাে।
প্রথম পর্বে ১৫ দিনে পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ। পরবর্তী ১৫ দিনে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন, ইন্টারভিউ সহ নিয়ােগ প্রক্রিয়া শেষ করবার নির্দেশ রয়েছে উক্ত মামলার আদেশনামায়। শুন্যপদ না থাকলে রাজ্য সরকার কে শুন্যপদ তৈরি করে ফেলতে হবে। উর ২৪ পরগনায় ২৬০০ এবং হাওড়ায় ১৩৩১ টি শূন্যপদ পুরণে তৎপর হতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে অন্য বেঞ্চের দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিগত বাম জমানায় শিক্ষক নিয়ােগ নিয়ে মামলা বিচারধীন রয়েছে, তাই আজকেত আদেশনামা কার্যকর হয়নি। তবে এদিনকার অর্ডারকপি ওই মামলায় যুক্ত করলে মামলাকারীদের নিয়ােগে সবুজ সংকেত পেতে পারেন আদালতে। এরূপ মনে করছে আইনজীবীদের একাংশ।
উল্লেখ, গত বছরে ২৩ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে সাড়ে ১৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ােগে ঘােষণা করেছেন। একাধারে ২০০৭ সালে এই শিক্ষক নিয়ােগ আজকের আদেশনামা এবং সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্নের অতিরিক্ত ৬ নাম্বার সংযােজন করে মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ জারি হয়েছে।
এইরুপ পরিস্থিতিতে অতীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে মামলায় পরীক্ষার্থীদের নিয়ােগ যেভাবে সবুজ সংকেত মিলছে আদালতের নির্দেশে তাতে খুশি দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা দিয়ে বসে থাকা চাকরি প্রার্থীরা।