• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ছক কষেই খুন ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: নিখুঁত ছক কষেই খুন করা হয়েছিল ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ব্যাট এবং উইকেট এবং দেহ লোপাট করার উদ্দেশ্যে সিমেন্ট ও ইট পূর্বেই কিনে রেখেছিলেন অভিযুক্তরা। এমনকি খুনের পর ব্যবসায়ীকে ভুয়ো মেল পাঠিয়েছিলেন অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের আগে সমস্ত আট ঘাট বেঁধেই ব্যবসায়ী ভব্য লাখানিকে খুন করেছিল অভিযুক্ত। সোমবার ভাব্যকে ৫০

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: নিখুঁত ছক কষেই খুন করা হয়েছিল ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ব্যাট এবং উইকেট এবং দেহ লোপাট করার উদ্দেশ্যে সিমেন্ট ও ইট পূর্বেই কিনে রেখেছিলেন অভিযুক্তরা। এমনকি খুনের পর ব্যবসায়ীকে ভুয়ো মেল পাঠিয়েছিলেন অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের আগে সমস্ত আট ঘাট বেঁধেই ব্যবসায়ী ভব্য লাখানিকে খুন করেছিল অভিযুক্ত।

সোমবার ভাব্যকে ৫০ লাখ টাকা পাওনার ব্যাপারে কথা বলার জন্য ডাকা হয়েছিল। এবং ভাব্য অনির্বাণের নিমতার প্রবোধ মিত্র লেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময় অপর অভিযুক্ত সুমন দাস বরানগর মেট্রো স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। কথা বলতে বলতেই ভাব্যকে খুন করে অনির্বাণ। তারপর সাহায্যের জন্য সুমনকে ফোন করে ডেকে পাঠান। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুমনের সাহায্যে জলের ট্যাংকের নিচে বস্তার মধ্যে দেহটি রেখে সেটি ইট, সিমেন্ট দিয়ে গেঁথে দেওয়া হয়। যাতে মৃতদেহ থেকে গন্ধ ছড়িয়ে না পড়ে তাই জন্যেই অভিযুক্তরা এই কাজ করেছিল বলে মনে করছে পুলিশ।

এই কাজের জন্য সুমনকে দুহাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে। খুন করার পর, অনির্বাণ একটি ভুয়ো মেল পাঠিয়ে ভাব্যকে জানান ৫০ লাখ টাকার ব্যাপারে যে দেনা পাওনা ছিল তা মিটে গিয়েছে। শুধু তাই নয় এর পরবর্তীতে মেল ‘হ্যাক’ করে সেই মেলের ইতিবাচক উত্তরও দেওয়া হয়। এরই মাঝখানে ভাব্যর মোবাইলের তাঁর স্ত্রীর ফোনে এলে তা কেটে দিয়ে, মেসেজ পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় ‘ব্যস্ত আছি’। এরপর অভিযুক্ত সুমন বড়তলার একটি টয়লেটে ভাব্যর আইফোনটি ফেলে রেখে আসেন।

যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকার এক বাসিন্দা সেটি কুড়িয়ে পান। অনির্বাণকে জেরা করার সময় অনির্বাণের কল লিস্টে সুমনের নম্বরের সূত্র ধরেই সুমনকে আটক করে পুলিশ। বালিগঞ্জ থানায় অনির্বাণ এর সামনে সুমনকে নিয়ে আসা হলে আসল সত্যি সামনে আসে। পুলিশের দাবি জেরায় অনির্বাণ জানিয়েছেন, নিমতার বাড়ির এক তলায় তিনি ও তাঁর স্ত্রী ভাড়া থাকতেন।

সোমবার বিকেলে তিনি যখন ভাব্যকে খুন করেন, এবং দেহ লোপাটের চেষ্টা করেন তখন তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশ তদন্তে আরও জানতে পেরেছে খুনের পর অভিযুক্তরা খুনে ব্যবহৃত ব্যাট এবং উইকেট পাড়ার ছেলেদের দিয়ে দেন। বুধবার বিষয়টি জানাজানি হতেই, ব্যাট ও উইকেটগুলি পরীক্ষা করে ছেলেরা দেখতে পায় তাতে রক্ত লেগে রয়েছে। ব্যাট এবং উইকেটগুলি উদ্ধার করে ফরেনসিককে পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়া পুলিশ তদন্ত করে দেখছে এই ঘটনায় অনির্বাণ এবং সুমন ছাড়া আর কেউ যুক্ত আছে কিনা।