বীরভূমের রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের বগটুই গ্রামের শেখ ভাদুকে ২১ মার্চ বোমা মেরে খুন করার পরেই, শেখ ভাদুর সমর্থকরা বগটুই গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজি করে এবং আগুন ধরিয়ে বহু বাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
বেশকিছু মানুষের উপরে নৃশংস অত্যাচারের পরে তাঁদের একটি ঘরে ভরে গায়ে পেট্রোল ঢেলে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে ৯ জনকে পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ।
পাশের কুমাড্ডা গ্রাম থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২ টি টোটো ও একটি মোটরবাইক পাওয়া যায়। ওই টোটো ২ টির মালিক শেখ মিলন ও শেখ রাণা বলে জানা গিয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ওই অভিশপ্ত রাত্রে নিহত শেখ ভাদুর অনুগামী শেখ বাপ্পা, শেখ খুশি, শেখ জাহাঙ্গীর, শেখ রাণা রামপুরহাট থেকে ওই টোটো ২ টিতে করে ক্যান ভর্তি করে পেট্রোল এনে গ্রামে আগুন জ্বালিয়েছে এবং মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে।
সেই সময় শেখ ভাদুর সমর্থকেরা ব্যাপকহারে বোমাবাজি করায় তাঁরা আতঙ্কে কিছু বলতে পারেননি।
সিবিআই এখন এই ঘটনার তদন্ত করছে। আর এই তদন্ত চালাতে গিয়ে সিবিআইয়ের হাতে নিত্য নতুন তথ্য উঠে আসছে।
সেই রাত্রে ব্যাপক বোমাবাজির পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই মনে করছিলো যে, হয়তো এখনও কোথাও না কোথাও বোমা মজুত থাকতে পারে।
আর সেই সন্ধান চালাতে গিয়ে সিবিআই শনিবার ২ এপ্রিল রাত্রে জানতে পারে যে, শেখ ভাদু খুনে অভিযুক্ত শেখ পলাশের বাড়ির আশপাশে বোমা মজুত রয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাত্রে সিবিআই শেখ পলাশের বাড়ির আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখে খবর পেয়ে রামপুরহাট এসডিপিও ধীমান মিত্রও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ।
রবিবার ৩ এপ্রিল বম্ব স্কোয়াড টিম ওই এলাকায় পৌঁছয় দমকল বাহিনীকে নিয়ে তারপরই সন্ধান চালিয়ে শেখ পলাশের বাড়ির পিছন থেকে ২ টি ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। এরপরই বম্ব স্কোয়াড টিম বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে দেয়।