ফণী মােকাবিলায় রাজ্য সরকারের তৎপরতাকে নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার দঁতন ১নং ব্লকের ঘােলাই ময়দানে মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী ডা. মানস ভুঁইয়ার সমর্থনে আয়ােজিত জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে যখন ঝড় আসার কথা হল আমি কলকাতায় বসে থাকতে পারিনি। শুনলম খড়গপুর দিয়ে ঝড় যাবে তাই আমি ৪৮ ঘন্টা খড়গপুরে বসেছিলাম। এই জন্যই যে এখানে কিছু হলে দেখে নেব, আমি সামলে নেব। এটা মাথায় রাখবেন।’
মমতা মনে করিয়ে দেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমি এটা করি। দাঁতনে আগেও ঝড় হয়েছিল, তখনও এসেছিলাম।’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঝড়ে ২৯,৫০০টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি নিজে সার্ভে করেছি। গতকাল আট ঘন্টা ঘুরেছি। আজও দেখেছি। সবার পাশে সরকার থাকবে। কেউ ক্ষতিপূরণ না পেলে পরে এমএলএ’র মাধ্যমে আমার সঙ্গে যােগাযােগ করবেন।’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র কটাক্ষ, ‘দেশের সবচেয়ে বড় দুর্যোগ আর দুর্ভোগের নাম নরেন্দ্র মােদি।’
দেশের সবচেয়ে বড় দুর্যোগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই নির্বাচন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে মােদিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্বাচন। পাঁচ বছরে কোনও কাজ করেনি। কোনও প্রতিশ্রুতি রাখেনি। শুধু মিথ্যা কথা। ওকে মাটির লাড্ডু বানিয়ে দেব। ওই লাড্ডুতে কাজু কিসমিস থাকবে না, থাকবে সাদা বালি আর স্টোনচিপস। খেতে গেলেই দাঁত ভাঙবে। মিথ্যা কথা বলা বন্ধ হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরা গদা নিয়ে রাজনীতি করে। এরা বােঝে না গদা নিয়ে রাজনীতি হয় না। গুণ্ডামি হয়, দাঙ্গা হয়।’ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিজেপি লােকসভা নির্বাচনে খুব হলে ১৫০-১৬০টি আসন পাবে। দিল্লির মসনদে মােদি ফিরছেন না। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও তাদের খালি হাতেই ফিরতে হবে। উপস্থিত ছিলেন মানস ভুইয়া, সৌমেন মহাপাত্র, অজিত মাইতি, রমাপ্রসাদ গিরি, বিক্রম প্রধান প্রমুখ।