বিধানসভার বাজেট অধিবেশন বয়কট করা বিজেপির লক্ষ্য নয়, তার চেয়ে বরং রোজ বিধানসভা বয়কট না করে, ধরনা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি।
এই নিয়ে চলছে শাসক-বিরোধী তরজা। সাসপেন্ড এমতাবস্থায় বিজেপির দুই বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
তারপর বিজেপি পরিষদীয় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাজেট অধিবেশন বয়কট না করে রোজ বিধানসভায় ধরনা দেবে। দুই বিধায়কের সাসপেনশন তোলার দাবিতে এই কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
বুধবার এই প্রসঙ্গেই শিল্প তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তীব্র কটাক্ষ করলেন।
এদিন পার্থবাবু বলেন, ‘বিধানসভা শান্তিকুঞ্জ নয় যে যখন যা ইচ্ছে করা যাবে। ধরনা করতে হলে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে করতে হবে।
যদি স্পিকার অনুমতি না দেন তারপরেও ওঁরা ওইকাজ করেন তাহলে নিয়ম মেনে যা করার তাই করা হবে।
‘পার্থবাবু আরও বলেন, ‘ওরা বিধানসভার বিএ কমিটির বৈঠকে আসেন না বিরোধী দলনেতা নিজেই তো আসতে পারতেন তিনি নিজেই তো আসেন না নিজে এসে নিজের কথা তো বলতে পারেন।
যাঁরা ২০০ পার বলতেন, তাঁদেরকে গঙ্গা পার করে দিয়েছেন রাজ্যের মনুষ। প্রসঙ্গত, কাঁথিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির নাম শান্তিকুঞ্জ।
বলাই বাহুল্য, শান্তিকুঞ্জ বলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাকে নিশানা করতে চেয়েছেন। বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের আচরণ নিয়েও এদিন তীব্র সমালোচনা করেন পার্থ।
তাঁর কথায়, ‘যাঁরা ঘন ঘন রাজভবনে যান, আজ যখন রাজ্যপালের ভাষণের উপর ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাব নিয়ে আসা হল, তখন তাঁরাই তাতে অংশ নিলেন না। ওরা ওদের আচরণ বদলায়নি। এটা পরিতাপের বিষয়।’