• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

থালা ও বাটিতে মুড়ি নিয়ে সংসদ ভবনে প্রতিবাদ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদদের 

মুড়িতে কেন্দ্র সরকারের জিএসটির প্রতিবাদের থালা ও বাটিতে মুড়ি নিয়ে সংসদ ভবনের সামনে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে শামিল হলেন তৃণমূল সাংসদরা।

প্রথমে ২১ জুলাইয়ের শহীদ দিবসের মঞ্চ এবার সংসদ ভবনের সামনে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে। মুড়িতে কেন্দ্র সরকারের জিএসটির প্রতিবাদের থালা ও বাটিতে মুড়ি নিয়ে সংসদ ভবনের সামনে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে শামিল হলেন তৃণমূল সাংসদরা।

প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন সাসপেন্ডেড সাংসদরাও। আগে মমতা ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে এক থালা মুড়ি নিয়ে কেন্দ্রের জিএসটির তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সংসদ ভবনের সামনের বিক্ষোভ তারই রেশ মনে করা হচ্ছে।

বুধবার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য সাংসদরা মুড়ি-চিঁড়ের উপর জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে হাজির হন।

জিএসটির প্রতিবাদে এদিন বাদল অধিবেশন শুরু হতেই সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

দোলা সেনের অভিযোগ, ‘আমরা এই ইস্যুতে শুধু আলোচনাই দাবি করেছিলাম। তা সত্ত্বেও আমাদের অগণতান্ত্রিক ভাবে বের করে দেওয়া হয়।

তাই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা আজ ১১টা থেকে আগামী শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ৫০ ঘণ্টা ধরে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে আওয়াজ তুলতে চাই।’

এর আগে অবশ্য মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আমজনতার কতটা ক্ষতি করছে জিএসটির তা বোঝাতে বলেছিলেন, এক বাটি মুড়ি খেলেও কেন্দ্র জিএসটি কাটে।

স্লোগান তুলেছিলেন,’আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নইলে বিজেপি বিদায় নাও।’ এদিন সেই মুড়ি হাতেই সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা।

উল্লেখ্য, মূল্যবৃদ্ধি, টাকার দামের পতনের মতো ইস্যু নিয়ে সরব হতেই গতকাল সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী সাংসদদের। সাসপেন্ড হন রাজ্যসভার ১৯ জন বিরোধী সাংসদ।

সাসপেন্ড করা হয় দোলা সেন, শান্তনু সেন, মৌসম নূর, শান্তা ছেত্রী, নাদিমূল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেবকে।

এছাড়াও সাসপেন্ড যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ডিএমকে ও বাম সাংসদও রয়েছেন।

তাঁরা সংসদের উচ্চকক্ষে মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রস্ফীতি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছিলেন। ওয়ালে নেমে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। তার জেরে সাপসেন্ড করা হয় তাঁদের।

চলতি সপ্তাহে তাঁরা আর বাদল অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না। এর আগে সোমবার কংগ্রেসের ৪ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। বিরোধীদের কণ্।