নিজস্ব প্রতিনিধি- শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ আগুন লাগে কসবার অ্যাক্রোপলিস মালে। যার জেরে শনিবারও সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ থাকল মল। অন্যদিকে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে, তা খতিয়ে দেখতে ফরেনসিক দল পাঠানো হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। মন্ত্রীর কথা মতোই এদিন সকালে মলে আগুন লাগার তদন্ত করতে যায় ফরেনসিক বিভাগ এবং দমকল বাহিনীর কর্তারা। সূত্রের খবর, মল কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার মধ্যরাতের সিসিটিভি ফুটেজ। একই সঙ্গে শেষ কবে অগ্নিসংযোগ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মক ড্রিল করেছিল মল কর্তৃপক্ষ, তাও প্রমাণসহ জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ আগুন লাগে কসবার অ্যাক্রোপলিস মালে। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল। আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মলে উপস্থিত সকলকে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনা হয়। মুহুর্তের মধ্যে গোটা মল ছেয়ে ফেলে কালো ধোঁয়া। ১৬টি ইঞ্জিনের প্রায় ঘন্টখানেকের চেষ্টার পর অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। মলের চতুর্থতলায় যে ফুড কোর্ট রয়েছে সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার সময় মলে উপস্থিত সাধারণ মানুষ নীচে নামার জন্য যে সিঁড়ি ব্যবহার করেছিলেন, সেখানে আবর্জনা ছিল। ফলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে সাধারণ মানুষকে বেগ পেতে হয় বলেও অভিযোগ উঠেছিল। এদিন ফরেনসিক গিয়ে খতিয়ে দেখেছে সমস্ত কিছুই। সূত্রের খবর, আগুন লাগার কারণে মলের ভিতরে অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেইগুলি মেরামত করে আবারও সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে কসবার এই মল।