এবার সিবিআই দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজের সন্ধান পেল, যেখানে ডিরেক্টর হিসেবে নাম রযেছে গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের। এছাড়া সিবিআই জানতে পেরেছে ওই বেসরকারি কলেজে বিনয় ছাড়া অন্য ডিরেক্টরদের নাম থাকলেও তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছে না সিবিআই।
অন্যদিকে গরু পাচার কাণ্ডে মাথাদের খোঁজ পেতে এই চক্রে মূল। অভিযুক্ত এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ বসিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল বারিক বিশ্বাসকে তলব করল সিবিআই।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বারিক বিশ্বাসকে তলব করেছে সিবিআই। তাঁকে সিবিআইয়ের সদর দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, ইমপাের্ট-এক্সপাের্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বারিক বিশ্বাস।
কিন্তু এই ব্যবসার আড়ালেই তিনি অবৈধ ব্যবসা চালাতেন। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের তার বাড়িতে যাতায়াত ছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বারিক বিশ্বাস গরু পাচারের টাকার লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। তাই তাকে জেরা করে এই চক্রের মাথাদের সন্ধান পেতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআই বারিকের কাছ থেকে মূলত জানতে চাইছে, কার কার কাছে পাচাঝে টাকা যেত? কোন কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে চলত এই টাকার লেনদেন? তাকে জেরা করে সিবিআই আরও জানতে চায় কোন কোন বিএসএফ কর্মী এবং প্রভাবশালীর কাছে এই গরু পাচারের টাকা পৌঁছত। ব
সিরহাটের সংগ্রামপুরে বাড়ি ব্যবসায়ী বারিক বিশ্বাসের। বারিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধভাবে সব বিষয় পাচারেরই অভিযােগ রয়েছে। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকবার তক্ষাকে বিএসএফ, কেন্দ্রীয় সরকারের শুল্ক বিভাগ ও আয়কর দফতরের জেরার মুখে পড়তে হয় নি।
মিশ্রের সঙ্গেও বারিক বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠতার খবর রয়েছে সিবিআইয়ের কাছে। এই সব তথ্য পাওয়ার পর বারিক বিশ্বাসের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের একটি দল। অন্যদিকে, দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি কলেজ নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই কলেজের মাধ্যমে গরু ও কয়লা পাচার চক্রের টাকা সাদা করা হত। তাই ওই কোরি কলেজের ডিরেক্টরদের খোঁজ শুরু করেছে সিবিআই।