• facebook
  • twitter
Saturday, 26 April, 2025

শুরু হল কয়লা পাচার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ

চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, ‘অভিযুক্তেরা প্রায় ৩১ লক্ষ মেট্রিক টন কয়লা চুরি এবং পাচার করেন। এর ফলে সরকারের ১,৩৪০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়।’

প্রতীকী চিত্র

মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল আদালতে কয়লা পাচার কান্ডে বিচার শুরু হল। কোলিয়ারির ১২ জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তাঁদের মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার অনুমতি দিয়েছিল কোল ইন্ডিয়া। এদিন সেই মামলাতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হল। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কোল ইন্ডিয়ার ২ জন শীর্ষ আধিকারিক শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক জন দিল্লি থেকে এসেছেন, দ্বিতীয় জন কোল ইন্ডিয়ার রাজ্যস্তরের আধিকারিক। তাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। ওই আধিকারিকদের প্রশ্ন করেছেন অভিযুক্তদের আইনজীবী শেখর কুন্ডু ও সোমনাথ চট্টরাজ। এরপর সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমারও তাঁদের প্রশ্ন করেন। কোল ইন্ডিয়ার অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন আবার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

কয়লা পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে মোট ৫০ জনের নাম ছিল। কিন্তু এই মামলায় অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র পলাতক। তাই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা যায়নি। গত ২৫ নভেম্বরের শুনানিতে বিনয়ের ভাই বিকাশকে সশরীরে বা ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করানো যায়নি। সেই কারণে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া আরও এক দফা পিছিয়ে যায়। উল্লেখ্য, এই মামলায় যে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই শর্তাধীন জামিনে রয়েছেন। চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, ‘অভিযুক্তেরা প্রায় ৩১ লক্ষ মেট্রিক টন কয়লা চুরি এবং পাচার করেন। এর ফলে সরকারের ১,৩৪০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়।’

২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই চুরি এবং পাচারের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। ২০২০ সালে কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। রাজ্যে রেলের বিভিন্ন সাইডিং এলাকা থেকে কয়লা চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রথমে আয়কর দপ্তর, তারপরে সিবিআই কয়লা কান্ডের তদন্তে নামে।

প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারকান্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোল-বাঁকুড়া এলাকার বেশ কয়েকজন ওসি/আইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারিতে এই মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে বলে জানা গিয়েছে।