• facebook
  • twitter
Thursday, 31 October, 2024

রাজ্যে চলছে সন্ত্রাস, ভয়-ভীতির রাজনীতি, তাই বাড়ছে খুনের ঘটনা: অধীর চৌধুরী

সাপের কামড়েও কারো মৃত্যু হয়, তাহলেও তোমাকে গ্রেফতার করা হবে যেন মাথায় থাকে। যত বেশি তৃণমূলের প্রভাব বেড়েছে, তত বেশি এ বাংলায় নৈরাজ্য বেড়েছে। তৃণমূলের প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নৈরাজ্য বৃদ্ধির এই সমানুপাতিক হার বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার নিজের কালীপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দর্শকদের সামনে ভাষণ দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র

মুর্শিদাবাদ জুড়ে খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। কয়েক মাসের মধ্যে জেলার সদর শহর বহরমপুর সহ গ্রাম- গ্রামাঞ্চলে ৮টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক খুনের পাশাপাশি ব্যবসায়িক কারণে খুনের ঘটনাও রয়েছে। রয়েছে সাধারণ এক টোটোচালকের  খুনের ঘটনাও। এ নিয়ে সাংবাদিকরা অধীর চৌধুরীকে প্রশ্ন করলে, তিনি জানান মুর্শিদাবাদ সন্ত্রাস, ভয়-ভীতির রাজনীতিতে আক্রান্ত। তাই বাড়ছে খুনের  ঘটনা। পুলিশ অপরাধীদের ধরার পরিবর্তে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে ব্যস্ত।

অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যে অরাজকতা, নৈরাজ্য, খুন, সন্ত্রাস, ভয়ের রাজনীতি চলছে, তা থেকে মুর্শিদাবাদ তো ব্যতিক্রমী হয়ে থাকতে পারে না। তাই মুর্শিদাবাদ জুড়ে খুনের ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছে। শহর, গ্রাম- গঞ্জ কিছু বাদ নেই। তার মানেটা স্পষ্ট যে, এখানে প্রশাসন, যারা আজকের সরকারি দল, তাদের ভয়ে ব্যর্থতার এটা একটা জ্বলন্ত উদাহরণ। লক্ষ্য করে দেখবেন, কোনো না কোনোভাবে যেকোনো ঘটনার তদন্ত এবং তদন্তের শেষে শাস্তির ব্যবস্থা নেই। অথচ এখনো পর্যন্ত যেখানে কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মীরা আছেন, সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে থ্রেট দেওয়া দিয়ে বলা হচ্ছে, তোমাদের এলাকায় যদি কাউকে সাপে কামড়ায় এবং  তাতে যদি কারও মৃত্যু হয়, তাতেও তোমাকে খুনের কেসে আসামি করব। অর্থাৎ বিরোধী দলের, বিশেষ করে কংগ্রেস দলের যারা সক্রিয় কর্মী যেখানে যেখানে আছে, সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়ার পরেও কংগ্রেস দলের সক্রিয় কর্মীর ভূত এই প্রশাসন দেখছে। তৃণমূল দেখছে।

তাই এমন কথা বলতে শোনা যায় পুলিশকে, যদি সাপের কামড়েও কারো মৃত্যু হয়, তাহলেও তোমাকে গ্রেফতার করা হবে যেন মাথায় থাকে। যত বেশি তৃণমূলের প্রভাব বেড়েছে, তত বেশি এ বাংলায় নৈরাজ্য বেড়েছে। তৃণমূলের প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নৈরাজ্য বৃদ্ধির এই সমানুপাতিক হার বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্ছে। তাই সর্বত্র আজ এই অরাজকতা। দীপাবলির উৎসব চলছে। মানুষের মধ্যে একটা আনন্দের আমেজ, উৎসবের আমেজ। সেই অবস্থায় প্রশাসন যদি সক্রিয় না হয়, তাহলে এই উৎসবের মধ্যেও আরো বহু ঘটনা হয়তো ঘটতে পারে। তাই প্রশাসনকে বলব, সতর্ক হতে। আর সরকারকে তো কিছু বলে লাভ আছে বলে জানিনা। অন্ধা সরকার, মূক সরকার, নীরব দর্শক সরকার। তারা কী করবে আমার জানা নাই। কিন্তু মানুষের দূরবস্থা ক্রমে যে বাড়বে – তা আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি।’