বর্ষবরণে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে শীত

বড়দিন কাটলাে মেঘ রােদুরের খেলাতেই। শীতবুডাের দাপট সেভাবে দেখা না দেওয়ায় হতাশ শহরবাসী। কিন্তু খুশির খবর শােনাল হাওয়া অফিসের কর্তা ডঃ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিসেম্বরের শেষ লগ্নেই আসেছ শীত বাবাজি।

২৭ ডিসেম্বরের পর পারা পতনের সম্ভাবনা সুনিশ্চিত। বর্ষবরণে জাঁকিয়ে পড়বে শীত। তবে তিনি এও জানান, আগামী দু’দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সে সম্ভাবনা যে নেহাতই নগন্য তাও জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর ডঃ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এর সঙ্গেই ভিজে হাওয়ায় জলীয় বাষ্পের পরিমান বেশি থাকবে। তবে পশ্চিমীঝঙ্কার বাধা কাটলেই শীতের আগমন সুনিশ্চিত। এই মেঘের চাদর সরে গেলেই রােদ ঝলমলে আবহাওয়ায় বুড়াে হাড়েও শীত জমিয়ে ব্যাটিং করবে।

২৫ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ উষ্ণতা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোনিম্ন উষ্ণতার পারদ ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে শীত পড়ুক না পড়ুক বড়দিনে বসন্তের মেজাজে বাঙালি হাতে হাত রেখে পার্কস্ট্রিটের পথে নেমে পড়েছে নবীন থেকে প্রবীন প্রায় সব বয়সের মানুষ। শহরের আনাচে কানাচে উৎসবের রঙে রাঙিয়ে পথে নেমেছ বিপুল জনস্রোত। পার্ক স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা, বাে ব্যারাক থেকে রবীন্দ্র সদন, টালিগঞ্জ থেকে টালা পার্কে আলাের বন্যা বইছে। আট থেকে আশির হাতে হাতে কেক পেস্ট্রি নিয়ে বড়দিনের মুডে এতটুকু খামতি নেই। চিড়িয়াখানা থেকে শহর উপান্তে ছােটখাট লজে, পার্কে পিকনিকে বড়দিন জমজমাট।


একাধিক ট্রেন বাতিল থাকলেও পর্যটনপ্রিয় বাঙালিকে ঠেকায় কে? ধর্মতলা থেকে হাওড়া শিয়লদহ জুড়েও শীতের ওম গায়ে মেখে বেড়িয়ে পড়েছে মানুষ। সে কাছের নিকো বা ইকোপার্ক হােক বা দুরের দেশে পাড়ি জমাচ্ছে ভ্রমণপিপাসুরা। শীতের ছুটি থাকায় ভ্রমণপ্রিয় বাঙলির অনেকেই উত্তরবঙ্গে ঘুরতে গিয়েছেন। তাদের জন্যও রয়েছে সুখবর।

হিমালয়ের কোলে দার্জিলিং গ্যাংটক জুড়ে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা নিম্নমুখী। কোথাও ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি আবার কোথাও মাইনাসে নেমেছে তাপমাত্রা। বরফ দেখে খুশি সকলেই। তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিনে আরও নামার সম্ভাবনার কথা শুনিয়ে রেখেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পাহাড়িয়া পুরুলিয়া ও বাকুড়াও পর্যটকদের আশাহত করেনি শীত। সেখানে ইতিমধ্যেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির আশেপাশে। হিমেল হাওয়া দার্জিলিং থেকে দিঘায় শীতের আমেজ নিয়ে বড়দিন ছুটির মুডে মানুষ।