গত চব্বিশ ঘন্টায় ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ ফোন করেছেন। ওয়েবসাইটে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ডিজিটাল মাধ্যমে যােগাযােগ করার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তবে শুরুতেই এই যােগাযােগ ব্যবস্থায় যে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে গিয়েছে, সেকথা অস্বীকার করা যাচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে রীতিমতাে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। তবে শহরের টেলি যােগাযােগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের টেলি যােগাযােগ সফলভাবে কাজ করতে হলে কোন বনেগা ক্রোড়পতি অনুষ্ঠানের মতাে মাস কলিং ইনটেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম সিস্টেম থাকা দরকার। সেটা না থাকলে এই ব্যবস্থা আদপেই কাজ করবে না।
এদিকে এই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমেছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। বিরােধীরাও ‘দিদিকে বলছি’ নামে একটা পাল্টা কর্মসূচি চালু করে দিয়েছে। এদিকে সােমবার থেকেই অভিযােগ উঠেছে, ‘ ‘দিদিকে বলাে’র টোল ফ্রি নম্বরে ডায়াল করে বেশিরভাগ মানুষের টেলিফোনই সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছনাে সম্ভব হয়নি। বেশিরভাগ সময় লাইন ব্যস্ত থেকেছে কিংবা লাইন পাওয়াই যায়নি অথবা কল ফরােয়ার্ড করা যায়নি। এমনকী অন্য নম্বরে কল ফরােয়ার্ড হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
সােমবার ঘটা করে চালু হওয়ার পর ৯১৩৭০৯১৩৭০-এই টোল ফ্রি নম্বরে যােগাযােগে এই গােলযােগ রীতিমতাে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) নামে প্রশান্ত কিশােরের এই সংস্থাটি এই ‘দিদিকে বলাে’ কর্মসূচির দেখভাল করছে। তাদেরকে এই ত্রুটি সারাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানাে হয়েছে প্রায় আড়াইশাে জন এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য চব্বিশ ঘন্টা কাজ করছে। এই ব্যবস্থায় চব্বিশ ঘন্টায় ৬০ হাজারটা ফোন কল এলে আই প্যাকের এই যান্ত্রিক পদ্ধতির কাজ করতে অসুবিধে হত না। কিন্তু এক লক্ষ ফোনকল আসায় টেলি যােগাযােগে কিছু অসুবিধে হয়েছে। তবে খুব শিগগির এই ত্রুটি সারিয়ে ফেলা হবে বলে জানানাে হয়েছে সংস্থার তরফে।