টালা ব্রিজ নিয়ে রেল দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের। বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে রাজ্যের তরফে পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিন্হা। সিদ্ধান্ত হয়েছে ‘কেবল ব্রিজ’ হিসেবেই তৈরি করা হবে টালা ব্রিজকে।
টালা ব্রিজের নকশা নিয়ে রেল দফতরের আপত্তিকে শেষ পর্যন্ত মেনে নিল রাজ্য। কবে থেকে টালা ব্রিজ ভাঙা হবে, তা নিয়ে অবশ্য এখনই দিন ঘােষণা করা হচ্ছে না। ঠিক সময়ে টালা ব্রিজের কাজ শেষ করতে চার সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বৃহস্পতিবারের বৈঠকে। ওই টাস্ক ফোর্সে থাকবেন পূর্ত দফতর ও রেলের আধিকারিকরা। টালা ব্রিজ তৈরি করা নিয়ে ইতিমধ্যেই দেরি হয়ে গিয়েছে। তবে এই বিলম্বের জন্য রেল দফতরকেই দায়ী করছে রাজ্য।
অন্যদিকে রেলের দাবি, টালা ব্রিজের জন্য রাজ্য সরকারের তৈরি নকশা ঠিক নয়। রাজ্য সরকারের নকশা অনুযায়ী কাজ করতে হলে, টালা ব্রিজ তৈরি করতে তিন বছরেরও বেশি সময় লাগবে। বর্তমানে যেভাবে টালা ব্রিজ তৈরির নকশা করেছে রাজ্য সরকার, সেখানে রেল লাইন সরিয়ে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে প্রস্তাবিত টালা ব্রিজের নকশা বদল নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে রেল দফতরের আধিকারিকদের একপ্রস্থ আলােচনা হয় নকশা বদল করে রেল দফতরকে তা দেবে রাজ্য। তারপরই টেন্ডার ডেকে পিপিপি মডেলে ব্রিজ তৈরির কাজ হবে। এই ব্রিজ ভাঙার সময় গাড়ি চলাচলের বিকল্প পথ হিসেবে চিৎপুর রেল ইয়ার্ড লেবেল ক্রসিং ব্যবহারের জন্য সাময়িক অনুমতি দিয়েছেন রেল দফতরের আধিকারিকরা।
এই লেবেল ক্রসিং ব্যবহারের জন্য রেলকে ১৪ কোটি টাকা দেবে রাজ্য। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমতি দেয়নি রেল দফতর। আগামী তিনদিনের মধ্যে দিল্লির কাছ থেকে অনুমােদন মেলার পর, এই বিষয়ে চুড়ান্ত অনুমতি দেবে রেল।