• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে বন্ধ রপ্তানি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই সিদ্ধান্ত টাস্ক ফোর্সের

মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে কেন্দ্রকেও নিশানা করেন। বলেন,'বর্ডার দিয়ে বাইরে যাচ্ছে আলু। কেন্দ্র কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? বাংলার পেঁয়াজ কেন বাইরে চলে যাবে? কেন নাসিক থেকে আনতে হবে?'

-- ফাইল চিত্র

আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ভিন রাজ্যে রপ্তানি বন্ধ করে দিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই শুক্রবারের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিল টাস্ক ফোর্স। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের একাধিক সমস্যা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতির বিষয়ে পদক্ষেপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। সেই বৈঠকে রাজ্যের আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এজন্য বৃহস্পতিবারেই আলুর রপ্তানিতে লাগাম টানার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই জরুরি বৈঠকে বসে টাস্ক ফোর্স। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত আলুর রপ্তানি বন্ধ রাখা হবে। ফলে আলুর দাম কিছুটা হলেও কমবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলেছিলেন, বেআইনিভাবে আলু ভিন রাজ্যে রপ্তানি করা হচ্ছে। এই কাজে জড়িত আছে স্থানীয় পুলিশের একাংশ। তাদের হাত ধরে বিপুল পরিমাণে আলু ভিন রাজ্যে রপ্তানি হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন,’আমাকে না জানিয়ে কেন আলু রপ্তানি?’ মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে কেন্দ্রকেও নিশানা করেন। বলেন,’বর্ডার দিয়ে বাইরে যাচ্ছে আলু। কেন্দ্র কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? বাংলার পেঁয়াজ কেন বাইরে চলে যাবে? কেন নাসিক থেকে আনতে হবে?’

প্রসঙ্গত কয়েকমাস আগেও আলু ও সব্জির দাম আকাশছোঁয়া হয়। মূল্য নিয়ন্ত্রণে পদস্থ আধিকারিকদের পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বাজারে বাজারে নেমে পড়ে টাস্ক ফোর্স। সেই অভিযানে সব্জির দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয় সব্জির জোগান বাজারে বৃদ্ধি পেলে সেই দাম আরও অনেকটা কমবে। তবে আলুর দাম এখনও বেশ কিছুটা বেশি। যার জেরে মধ্যবিত্তের দ্রুত পকেট ফাঁকা হচ্ছে।

এবিষয়ে টাস্ক ফোর্স সূত্রের খবর, আলু ব্যবসায়ী সমিতি প্রতি কেজি আলুর দাম ২৬ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই দাম ধরা হচ্ছে কেজি প্রতি ২৮ টাকা। যা বিভিন্ন হাত ঘুরে বাজারে আসতে আসতে দাম আরও বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে জ্যোতি আলুর খুচরো মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা এবং চন্দ্রমুখীর দাম দাঁড়িয়েছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা। মাত্র দুই টাকা বেশি দাম নেওয়ার জন্য খুচরো বাজারে আলুর দাম অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে।

তবে শুধু আলুর দাম নয়, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়েও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন প্রশ্ন তোলেন, বাংলার পেঁয়াজ কেন বাইরে চলে যাবে? যদিও টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, রাজ্যে পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ফলত সামগ্রিক দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়াচ্ছে টাস্ক ফোর্স।