টালা থানার ওসি অভিজিতের পলিগ্রাফিতে সম্মতি আদালতের, সন্দীপের নার্কো নিয়ে ধোঁয়াশা

আরজি কর কাণ্ডে আগেই সন্দীপ ঘোষের নার্কো টেস্ট করাতে চেয়েছিল সিবিআই। সেই প্রস্তাবে রাজি হননি এই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ও বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে তাঁর পলিগ্রাফ টেস্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর বয়ানে মিলেছে একাধিক বিভ্রান্তি। সেজন্য শিয়ালদহ আদালতে নার্কো পরীক্ষার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। পাশাপাশি টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানানো হয় আদালতে। শুক্রবার শিয়ালদহ আদালত এই দুই আবেদনেই সম্মতি দিয়েছে।

আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্টের কনসেন্ট রেকর্ডের দিন ধার্য করেছে আদালত। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের নার্কো টেস্টেও সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরেই সন্দীপের সম্মতি রেকর্ডের দিন ধার্য করা হয়েছে। তবে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলেরও নার্কো টেস্ট করানো হবে কিনা সেবিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এর আগে ধৃত সিভিক সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হলেও নার্কো টেস্টে রাজি হয়নি। যার ফলে আদালত তার নার্কো টেস্টে সম্মতি দেয়নি। এবার সন্দীপ ঘোষের ক্ষেত্রে বিষয়টি কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে এই ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রার্থী গোটা রাজ্যবাসী।

প্রসঙ্গত আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে এই মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু হয়েছিল। কিন্তু ধর্ষণ ও খুনের তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ফের গ্রেপ্তার হতেই তদন্তে নতুন মাত্রা পায়। কর্তব্যে গাফিলতি–সহ তথ্য প্রমাণ লোপাটের কাজে জড়িত টালা থানার ওসি। সেজন্য ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও ওই একই দিনে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের দাবি, প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। জেরা করে তাঁদের দুজনের বয়ানে মিলেছে একাধিক অসঙ্গতি। সেই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য তাঁদের পলিগ্রাফি টেস্ট ও নার্কো অ্যানালিসিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাহলেই বোঝা যাবে, তাঁরা কতটা সত্যি বলছেন, আর কতটা মিথ্যা বলছেন।