কাটিহার এক্সপ্রেস থেকে তবলাবাদকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। অভিযুক্ত রাহুল জানিয়েছে, বারবার ট্রেনের মধ্যে বিড়ি খেতে বারণ করছিলেন ওই ব্যক্তি। তাই রেগেমেগে তাঁকে খুন করে ফেলে সে। গত মঙ্গলবারই তবলাবাদকের খুনি সন্দেহে গুজরাত থেকে গ্রেফতার করা হয় রাহুল ওরফে ভোলুকে। কিন্তু খুনের কারণ জানতে পেরে চমকে গিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
২১ নভেম্বর হাওড়ায় এসে পৌঁছানো ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসের প্রতিবন্ধী কামরা থেকে উদ্ধার হয় তবলাবাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের রক্তাক্ত দেহ। ট্রেনে তল্লাশি চালানোর সময় দেহটি নজরে আসে আরপিএফ কর্মীদের। এরপর গুজরাতের ভালসাদ পুলিশ ও রেল পুলিশ রাহুল নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত রাহুলের কাছ থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ফোন উদ্ধার হয়।
২১ নভেম্বর সকালে হাওড়া স্টেশনে ঢোকে ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস। প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত কোচের বাঙ্কার থেকে সৌমিত্রবাবুর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল। রেল পুলিশের অনুমান, ট্রেনের মধ্যেই খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। মৃতের পরিবারের তরফেও একই অভিযোগ উঠেছে।
বালি ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কোনওরকম পরিচয়পত্র বা টিকিট ছিল না। ফলে প্রথমে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। পরে পরিবারের সদস্যরা দেহ শনাক্ত করেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির লোকজনের কথায়, তালিম দিতে কাটিহার গিয়েছিলেন তিনি। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি বিহারের কাটিহার থেকে ট্রেনে চড়েন। রাতে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।
সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ট্রেনটি হাওড়া আসে। প্রতিবন্ধী কামরার বাঙ্কে তাঁর দেহটি পড়েছিল। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় দেহটি। মালদহ ও তার আগের স্টেশনগুলিতে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেও খুনের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।