শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পরই তােপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখােপাধ্যায়। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে মেদিনীপুরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ও অমিত শাহের করা একের পর এক উক্তির পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীকে দলে নিয়ে ভাবছে, বাংলা দখল হয়ে গেছে, যেন ২৫০ আসন জিতে গেছে। ভাগ্যিস বলেনি, ৩০০ আসন পাবে। শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলে তৃণমূলের মতাে বড় রাজনৈতিক দলের কিছু এসে যায় না। আমাদের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপরে বাংলার মানুষ ভরসা করে। তাতেই আমরা নিশ্চিত, ক্ষমতায় থাকব।’
অমিত শাহ ও বিজেপির সমালােচনা করেন সুব্রত। সম্প্রতি বােলপুরে অমিত শাহকে স্বাগত জানানাের জন্য একাধিক পােস্টার দেয় বিজেপি। সেখানে অমিত শাহ, অনুপম হাজরার সঙ্গে ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি।
সেই নিয়েও সুব্রত বলেন, ‘অমিত শাহের আগমনকে কেন্দ্র করে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মান করে হাের্ডিং দেওয়া হয়েছে। যা বাংলার মানুষ মেনে নেয়নি। অমিত শাহের ছবির নীচে রবিঠাকুরের ছবি রেখে অপমান করা হয়েছে। সেই কারণেই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা হবে।’
দেড় বছরে রাজ্যে বিজেপির ৩০০ কর্মী খুন হয়েছে বলে দাবি বিজেপি’র। সেই দাবি অস্বীকার করে সুব্রতর মন্তব্য, ‘মিথ্যে বলছেন অমিত, বিজেপি’র বেশির ভাগ কর্মী খুন হয়েছেন গােষ্ঠীদ্বন্দ্বে। বরং এই সময়কালে বিজেপির হাতে তৃণমূলের ১২৭ জন কর্মী খুন হয়েছেন।’
জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে বিজেপি নেতারা যে কথা বলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন ‘বিজেপি সভাপতির কনভয়ের নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি ছিল না। ভয়ে অতিরিক্ত গাড়ি ঢােকায় সমস্যা হয়েছিল। এতে রাজ্যের কোনও দোষ নেই।’