বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় শুনানি চলে। এদিন এজলাসে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই আঞ্চলিক কর্তা উপেন বিশ্বাস।
এদিন শুনানি পর্বে আদালত জানায় প্রাথমিক টেট মামলায় রঞ্জন ইস্যুর তদন্ত হবে হাইকোর্টের নজরদারিতে। এই সংক্রান্ত তদন্তের জন্য সিবিআইকে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট এর সিঙ্গল বেঞ্চ।
আগামী ১৭ জুনের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে সিটের তদন্তকারী অফিসারদের তালিকা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ সিবিআই তদন্তে যেখানে রঞ্জন বা চন্দন মণ্ডলের বিষয়টি যুক্ত সেটি আদালতের নজরদারিতে চলবে।
সিবিআই স্পেশাল ইনভেস্ট টিগেটিভ টিম গঠন করবে অফিসারদের নিয়ে।কারা কারা সেই সিটে থাকবেন ,তাদের নাম দিতে হবে আদালতে। আগামী জুনের মধ্য দিতে হবে সেই নামের তালিকা বলে আদেশনামায় উল্লেখ রয়েছে ।
বুধবার বিচারপতির আরও নির্দেশ , ‘এই টিমের সদস্যরা কেউ বদলি হতে পারবেন না তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত সিবিআই তদন্ত সন্তোষজনক নয়।’ প্রসঙ্গত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত মঙ্গলবার এজলাসে সিবিআই তদন্তে ব্রিক্তি প্রকাশ করেছিলেন। বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কথোপকথনে সিবিআই নিয়ে অনেক কথা উভয়ের মধ্যে চলে সেদিন। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস তাঁর এক ভিডিয়োয় রঞ্জন নামে এক ব্যক্তির কথা বলেছিলেন যে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিত। এদিন আদালতে বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে উপেন বিশ্বাস বলেন, আমি শপথ নিয়ে বলছি, রঞ্জন আসলে চন্দন মণ্ডল ছিল। এরপর বিচারপতি উপেন বিশ্বাসকে প্রশ্ন করেন, ‘তিনি মন্ত্রী ছিলেন। তাও কেন রঞ্জনকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রত্যুত্তরে উপেনবাবু তখনকার পরিস্থিতি ব্যক্ত করেন। তবে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ খুশি উপেন বিশ্বাসও।