• facebook
  • twitter
Monday, 7 April, 2025

মিলল না জামিন, আপাতত জেলেই সুবীরেশ ভট্টাচার্য

বিচারপতি পঙ্কজ মিথল এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে শুক্রবার জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। কিন্তু সেই শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন না এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এর আগে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন সুবীরেশ। কিন্তু হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুবীরেশ জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন। বিচারপতি পঙ্কজ মিথল এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে শুক্রবার সেই আবেদনের শুনানি ছিল। কিন্তু সেই শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, আগামী তিন সপ্তাহ পরে ওই মামলার শুনানি হবে।

এর আগের শুনানিতে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী আদালতে জানান, অভিযুক্ত দু’বছর পাঁচ মাস জেলে রয়েছেন। অন্য অভিযুক্ত জামিন পেয়ে গিয়েছেন। এরপর সুবীরেশের জামিন ইস্যুতে সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই মামলার শুনানি থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ এপ্রিল।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশকে নিজাম প্যালেসে তলব করে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। গ্রেপ্তারির পর তাঁকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং হিলস ইউনিভার্সিটির উপাচার্যর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্য অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করা হয় সুবীরেশকে। ২০১৭ সাল থেকে ওই পদে ছিলেন সুবীরেশ।

আদালতে তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাঁর নির্দেশেই কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীর মার্কশিটের নম্বর বদল করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতা না করার অভিযোগও আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। নম্বরে গড়মিল করে নিজের ভাগ্নেকেও চাকরি করিয়ে দিয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, দাবি সিবিআইয়ের।

জামিন চেয়ে বেশ কয়েকবার কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সেই জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ একসময় বলেছিল, ‘দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন সুবীরেশ। উচ্চশিক্ষিত হয়েও সমাজের সঙ্গে চরম প্রতারণা করেছেন তিনি। অযোগ্যদের চাকরি দিয়ে যোগ্যদের বঞ্চিত করেছেন। অযোগ্যদের হাতে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার ভার তুলে দিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন। এর থেকে বড় প্রতারণা কী হতে পারে?’

সিবিআইয়ের দাবি, যে সময় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই সময়ে সুবীরেশই এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। এই দুর্নীতিতে তাঁর প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। এসএসসির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেও তাঁর প্রভাব ছিল যথেষ্ট। সেই কারণে সুবীরেশ যখনই জামিনের আবেদন করেছেন, তখনই আপত্তি জানিয়েছে সিবিআই।