উপাচার্য নিয়োগ মামলায় বুধবার আরও কিছু সময় দেওয়ার জন্য আবেদন রাখল রাজ্য। এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের উপাচার্য নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল. রাজ্যের তরফে জানানো হল, উপাচার্য নিয়োগের জট কেটে যাওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী। তবে আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক। বিচারপতি সূর্য কান্ত, দীপঙ্কর দত্ত এবং উজ্জল ভূঁইয়ার এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল-রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল। এনিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত নামের তালিকার চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করতে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয় আদালত। বলা হয় এক্ষেত্রে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বৈঠকের উদ্যোগ নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্যের পরই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এজি ভেঙ্কটরামানি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানির সময় বলেন, ‘অনুগ্রহ করে আরও কিছু সময় দেওয়া হোক। কিছু ইতিবাচক কাজ হয়েছে।’ তিনি বলেন , উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা কাটছে।কয়েকটি নামের ক্ষেত্রে কিছু মতভেদ আছে। তা কাটিয়ে ফেলা হবে। এজি বলেন, ‘আমি যদি চ্যান্সেলর এবং রাজ্যের মধ্যে আরও কিছু মধ্যস্থতা করতে পারি…।’
বিচারপতি জে সূর্য কান্ত দ্রুত কাজ শেষ করারনির্দেশ দেন। তিনি বলেন, যে মুহূর্তে মতবিরোধ দেখা দেবে, আদালত পদক্ষেপ করবে। আদালতের মূল্যবান সময় বাঁচানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। এই জটিলতা কাটাতে রাজ্যের দক্ষ আধিকারিকদের ব্যবহার করার কথাও বলেন বিচারপতি।
আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বাকি জটিলতা কাটানোর জন্য আদালতের কাছে আরও ৮ সপ্তাহ সময় চান। এর মধ্যেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন, এমনটাই জানান। যদিও আদালত ৮ সপ্তাহ সময় মানতে চায়নি। রাজ্যকে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে আরও তিন সপ্তাহের জন্য সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।