• facebook
  • twitter
Wednesday, 8 January, 2025

সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল এসএসসি-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি

সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল এসএসসি-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি, যার জেরে আজও ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ ঝুলেই রইল। 

ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল এসএসসি-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি, যার জেরে আজও ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ ঝুলেই রইল। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে এই মামলা শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুরুতেই ওঠে এই মামলা। তবে প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, আরও কিছু তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে। অবশ্য সিবিআইকে আজই মামলা রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাকি সব পক্ষকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ জানুয়ারি।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মামলাটি দিনের শুরুতেই শুনানির জন্য ওঠে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা। বিচারপতিরা বলেন, আমরা আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনেছি। এবার অন্য পক্ষদের বলতে দিতে হবে। আগামী সোমবার দুপুরের পর তা শোনা যেতে পারে।

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, পরবর্তী সোমবার শীর্ষ আদালত বন্ধ থাকবে। এরপর বিচারপতিরা বলেন, এই মামলা খুব বেশি পিছনো যাবে না। তাই আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি দুপুর ২টোর পর মামলাটির শুনানি হবে।

সিবিআই সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাইপর্ব হয়ে গিয়েছে। যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা আলাদা করা যাবে কি না, সেটাই সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানাবে সিবিআই।

এই মামলার আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বাছাইয়ের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করা হবে, না কি যোগ্য এব‌ং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করা তা বিবেচনা করা হবে। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ‘যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না-গেলে পুরো প্যানেল বাতিল বাতিল করতে হবে।’

এদিন ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানিও পিছিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট কয়েক লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। তা পিছিয়ে ২৮-২৯ জানুয়ারি করা হয়েছে।