• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বাজেট সুপারফ্লপ, হোপলেসঃ মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি- অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির পেশ করা কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশবাসী উপকৃত হবেন বলে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেও মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বাজেট নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি। বাজেট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া প্রতিক্রিয়া, এটা হোপলেস, সুপারফ্লপ বাজেট। এটা একটা আশাহত বাজেট ছাড়া কিছুই নয়। না ঘরকা, না ঘাটকা। দেশবাসীর ধারণা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: IANS)

নিজস্ব প্রতিনিধি- অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির পেশ করা কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশবাসী উপকৃত হবেন বলে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেও মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বাজেট নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি। বাজেট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া প্রতিক্রিয়া, এটা হোপলেস, সুপারফ্লপ বাজেট। এটা একটা আশাহত বাজেট ছাড়া কিছুই নয়। না ঘরকা, না ঘাটকা।

দেশবাসীর ধারণা ছিল মোদির এই বাজেটে নতুন কিছু চমক দেওয়া হতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও দিশা দেখাতে না পারায় কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে খড়গহস্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার নবান্নে এভাবেই বাজেট নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের সমালোচনা করে এদিন তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর পেশ করা বাজেটে কর্মসংস্থানের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এই বাজেটে নতুন কিছু নেই। মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়, গরিব মহিলা, ছাত্র, যুব থেকে শুরু করে তুশিলি জাতি এবং উপজাতি সহ কৃষকরাও এই বাজেটে আশাহত হয়েছ বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।

ইতিপূর্বে নোটবন্দি থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লাগাতার সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জিএসটি নিয়েও কড়া সমালোচনায় মুখর হয়ে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে মোদি সরকারের বিরিদ্ধে ফের তোপ দেগেছেন মমতা।

কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনা করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই বাজেট এমনভাবে তৈরী হয়েছে যে, কৃষকদের আয় বাড়ানোর কথা বলা হলেও তার জন্য বিশেষ কোনও পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়নি। এমনকি এর জন্য বিশেষ কোনও অর্থও বরাদ্দ করেননি অর্থমন্ত্রী। আবার তফশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের জন্যও কোনও অর্থও বরাদ্দ করা হয়নি এখানে।

পাশাপাশি বাজেটে শিক্ষা স্বাস্থ্য বরাদ্দর বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, শিক্ষাক্ষেত্রে ১ শতাংশ সেস বসানো হয়েছে। এনিয়েও তিনি সরব হয়েছেন। তাঁর কটাক্ষ, দিল্লির বর্তমান সরকারের দেশ চালানোর ক্ষমতা নেই।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায় জনবিরোধী এই বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কমানোর পাশাপাশি সঙ্খ্যালঘুদের জন্যও বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ঠেকানো নিয়েও কোন কথা বলা হয়নি এই বাজেটে। এমনকি একশো দিনের টাকা পর্যন্ত কমিয়ে দেওয়ায় হতাশ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাজেটকে সুপারফ্লপ এবং ভাঁওতাবাজি বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। তাঁর মতে, ২০১৯ সালের ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখেই মোদি সরকার এই বাজেট পেশ করেছে।

তিনি আরও বলেন এই বাজেটে কোথাও সঠিক দিশার উল্লেখ নেই। তাই আমি মনে করি, কেন্দ্রের এই বাজেট পুরোপুরি ভাঁওতাবাদের বাজেট ছাড়া কিছুই নয়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই বাজেটে খুশি হতে পারেননি।

অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও কেন্দ্রীয় বাজেটকে দিশাহীন বলে মনে করেছেন। তাঁর মন্তব্য, ভোটমুখী বাজেট করতে গিয়ে দিশাহীন বাজেট করে ফেলেছেন অর্থমন্ত্রী। চাতুরি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। কি করে কর্পোরেট সেক্টরকে আরও সমৃদ্ধ করা যায়, সেই চেষ্টাই হয়েছে বাজেটে বলে ধারণা বিরোধী দলনেতার।

একইসঙ্গে এদিন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও কেন্দ্রীয় বাজেটের কড়া সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।