রাজ্যের মুকুটে নতুন পালক। আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতল ‘সুন্দরিনী’। সুন্দরবনের গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে ‘সুন্দরিনী’ নামের খাঁটি গোরুর দুধের ব্র্যান্ডের সূচনা হয়েছিল। সময় যতই এগিয়েছে, এই দুধ ততই জনপ্রিয় হয়েছে। দুই ২৪ পরগনার মোট ১৫টি ব্লকে ‘সুন্দরিনী’ ব্র্যান্ডের দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। এই ‘সুন্দরিনী’ দুধই পুরস্কার জিতল আন্তর্জাতিক মঞ্চে।
ফ্রান্সের প্যারিসে তৃতীয় আইডিএফ ডেয়ারি ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড জিতল ‘সুন্দরিনী’। ইনোভেটিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফার্মিং প্র্যাকটিসেস-এর জন্যই এই পুরস্কার জিতেছে ‘সুন্দরিনী’। গোটা বিশ্বের ১৫৩টি ব্র্যান্ড এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। তাদেরকে টেক্কা দিয়ে পুরস্কার জিতেছে ‘সুন্দরিনী’ শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে এই তথ্য জানান। পুরস্কারের ছবিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি।
সুন্দরবনের মহিলাদের স্বনির্ভর করা লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই ভাবনা থেকেই এই ‘সুন্দরিনী’-র সূচনা। ২০২৫ সাল থেকে এর পথ চলা শুরু। বর্তমানে ‘সুন্দরিনী’-র মাধ্যমে সুন্দরবনের সাড়ে ৪ হাজার মহিলা জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিন ‘সুন্দরিনী’ ব্র্যান্ড ২০০০ লিটার দুধ উৎপাদন করে। ২০২৩-২৪ সালে সংস্থার লাভ হয়েছে ৪ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, ‘সুন্দরিনী’-র সঙ্গে ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এই পুরস্কার জিতেছে।
Happy to share another success story involving our Sundarbans women!
Our milk cooperative Sundarini (Sundarban Cooperative Milk Union & Livestock Producers’ Union) and NDDB together have won a prestigious international award from the International Dairy Federation.
The award… pic.twitter.com/FvLD6B8nRA
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 19, 2024
এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, আমাদের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের অধীনে একটি সমবায় দুগ্ধ ইউনিয়ন সুন্দরিনী, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ৪,৫০০ মহিলা কৃষককে নিয়ে গঠিত। যারা দৈনিক ২০০০ লিটার দুধ উৎপাদন করে এবং ২৫০ কেজি প্রক্রিয়াজাত দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন করে।
দুধ ছাড়াও ‘সুন্দরিনী’-র অন্যান্য সামগ্রী, যেমন – মধু, পনির, ঘি, গুড়, চিজের মতো সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ঘাস এবং রাসায়নিকমুক্ত জৈব খাদ্য দিয়ে সুন্দরবনের মহিলারা নিজ নিজ বাড়িতে গরু প্রতিপালন করেন। সেই দুধই ‘সুন্দরিনী’ ব্র্যান্ডের মাধ্যমে পৌঁছে যায় কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। অন্যান্য জিনিসগুলি কলকাতা বিমানবন্দর, হাওড়া স্টেশন সহ শহর ও শহরতলির আউটলেটের মাধ্যমে বিক্রি হয়।