• facebook
  • twitter
Friday, 20 September, 2024

মেঘে আড়াল সূর্য, ঠিকমতয় গ্রহণ দেখতে পেল না শহরবাসী

মেঘে ঢেকেছিল আকাশ। দেশের বিভিন্ন রাজ্য রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দারা রিং অফ ফায়ার বা আগুনের বলয় দেখতে পেলেও কলকাতাবাসী দেখতে পাননি।

কুরুক্ষেত্র থেকে তোলা সূর্যগ্ৰহণের ছবি। (Photo by Sajjad HUSSAIN / AFP)

মেঘে ঢেকেছিল আকাশ। দেখা যায়নি বলয়গ্রাস সূর্যগ্ৰহণ । দেশের বিভিন্ন রাজ্য রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দারা রিং অফ ফায়ার বা আগুনের বলয় দেখতে পেলেও কলকাতাবাসী দেখতে পাননি। রবিবার থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিও হয়। বেলা ১১ টা নাগাদ মেঘ সরলে আংশিকভাবে গ্রহণ দেখা যায়। কিন্তু তাও মাত্র কিছুক্ষণের জন্য।

প্রসঙ্গত রবিবার সকাল ১০ টা ২০ মিনিট নাগাদ শহরে সূর্যগ্ৰহণ শুরু হয়। শুধু ভারতবর্ষে নয় কঙ্গো, সুদান, সৌদি আরব, পাকিস্তান, চীনেও সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যগ্ৰহণ দেখার জন্য কার্যত উৎসাহ ছিলেন শহরবাসী কিন্তু মেঘলা আকাশ সেই সমস্ত উৎসাহে কার্যত বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারের অধিকর্তা সঞ্জীব সেন জানান, রবিবার সকাল ১০ টা ৪৬ মিনিটে কলকাতাতে আংশিক গ্রহণ শুরু হয়েছিল, যা সর্বোচ্চ ছিল ১২ টা ৩৫ মিনিটে এবং শেষ হয় দুপুর ২ টো ১৭ মিনিটে। ইতিপূর্বে ২০১৯ সালে ২৬ ডিসেম্বর আংশিক সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। কলকাতায় সেই সময় ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলেছিল বলয়গ্রাস গ্রহণ। পরবর্তী গ্রহণ দেখার জন্য ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে শাসীকে।

দু’বছর পরে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেলেও পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে ২০৩৪ সালে। সুত্রের খবর, ইসরাইলে সেখানকার সময় অনুযায়ী ভোর ৫ টা ৫৬ মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল। যার স্থায়িত্ব ছিল ১ মিনিট ২২ সেকেন্ড। সূর্য উদয়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রহণ পরিলক্ষিত হয়। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন-এর আকাশে বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যায়। দুপুর ১ টা ৫০ নাগাদ রাজস্থানের জয়পুরে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। দুপুর ১ টা ৪৪ মিনিটে মহারাষ্ট্রে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। দুপুর ৩ টা ৪ মিনিটে গুজরাটের গান্ধীনগরে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।

সূর্যগ্ৰহণ প্রসঙ্গে বিড়লা প্লানেটরিয়াম এর সহযোগী ডিরেক্টর সন্দীপ ভট্টাচার্য জানান, চলতি বছরই এটি একমাত্র সূর্যগ্রহণ, যেটি ভারতবর্ষ থেকে দেখা যাবে। এই গ্রহণে দিল্লিতে সূর্যের ৯৪ শতাংশ, কলকাতাতে ৬৬ শতাংশ, মুম্বাইতে ৬২ শতাংশ, ব্যাঙ্গালোরে ৩৭ শতাংশ এবং চেন্নাইতে ৩৪ শতাংশ ঢাকা পড়ে চন্দ্রের ছায়ায়।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, যদি আবহাওয়া খারাপ থাকে সেক্ষেত্রে সূর্যগ্রহণ দেখার বিশেষ অসুবিধা তৈরি হয়। এমনকি মেঘে ঢাকা আকাশে দীর্ঘক্ষন সুর্য গ্রহণ দেখার থেকে স্বাভাবিক আকাশে সূর্য গ্রহন দেখা ভালো বলেও দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। নেহেরু প্লানেটরিয়াম ডিরেক্টর এন রত্নশ্রী জানান, মেঘের জন্য সূর্যগ্রহণ ব্যহত হয়েছে।