সর্বভারতীয় হাওয়ালা দুর্নীতির পুনরায় অভিযােগ তােলার পরেই রহস্যমৃত্যু সুরেন্দ্র জৈনের, দাবি তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই বিস্ফোরক অভিযােগটি তােলেন তিনি।
পাশাপাশি, ভুয়াে প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের বিশেষ খাম পাঠানাে থেকে দুর্গাপুরের স্টিল প্ল্যান্টে কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়া সহ নানান অভিযােগে অভিযুক্ত করলেন বাংলার রাজ্যপালকে।
যদিও এখনও অবধি রাজ্যপালের তরফে সেভাবে এইসবের প্রতিবাদ মেলেনি। বেশ কয়েকবছর ধরে সাপে-নেউলে সম্পর্ক রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের। বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানান, হাওয়ালা কাণ্ডে অভিযােগ তােলার পরই ২৮ জুন মারা যান অভিযুক্ত সুরেন্দ্র জৈন। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক তদন্ত চাইছি।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে অশান্ত জম্মু ও কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর অপারেশনে ধরা পড়েছিল আসফাক হুসেন লােন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হাওয়ালা কাণ্ডের সন্ধান পায় সেনাবাহিনী। যা জৈন হাওয়ালা কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত।
সেখানে জৈনদের ভাই সুরেন্দ্র, বলবন্ত রাই, নরেন্দ্র এবং অরবিন্দের নাম উঠে আসে জঙ্গিরা এদের মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে টাকা তুলত। এই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে যায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের। বাংলার রাজ্যপাল ধনকড়ের নাম জড়ায় সেখানে।
ডায়েরিতে ছিল এক জগদীপ ধনকড়ের নাম, যিনি চারটি ইনস্টলমেন্টে টাকা নিয়েছিলেন। ডায়েরিতে নাম থাকা এই জগদীপ ধনকড় কে? কোথাও জমি কেলেঙ্কারি, কোথাও জৈন হাওয়ালা ডায়েরিতে রয়েছে রাজ্যপালের নাম।
এজেন্সিদের মাধ্যমে এসবের তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করেছে সুখেন্দুশেখর রায়। সেইসঙ্গে রাজ্যপালকে বরখাস্ত কারও দাবি উঠল তৃণমূলের পক্ষ থেকে।