দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ করলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সোমবার বালুরঘাটে এক সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদ বলেন, রাজ্যের হিংসা ও দাঙ্গা থেকে মুখ ঘোরাতে এমন খেলা খেলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু সাংসদের দাবি, বিজেপি এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি করবে যাতে বিরোধীরাও সমর্থন করবে। এদিন মোদি সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে মমতা সরকারের চরম ব্যার্থতা তুলে ধরে মহামিছিল করেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। সাংসদের নেতৃত্বে শহরের মঙ্গলপুর থেকে মিছিল করে গোটা শহর পরিক্রমা করেন বিজেপির নেতানেত্রীরা।
থানা মোড় এলাকায় সভা করে মোদি সরকারের বিগত আট বছরের সাফল্যের ঘটনাগুলি তুলে ধরা হয়। তবে এই রাজ্যে একের পর এক সন্ত্রাস ও হিংসার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান সাংসদ।
সেনায় নিয়োগের স্বল্পমেয়াদি প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’ ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে চলছে অশান্তি। দেশের একাধিক রাজ্যে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আতঙ্কিত সকলেই। এমন পরিস্থিতিতে এই সব ঘটনা নিয়ে বিদেশি শক্তির চক্রান্তের বিষয় উস্কে দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ।
সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাটে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এমন প্রসঙ্গের কথা সামনে আনেন। তিনি বলেন,দেশের ভিতর কিছু কোচিং সেন্টার এমন সব উস্কানি দিতে পারে। বেকার যুবক যুবতীদের ভুল বুঝিয়ে এমন সব করানো হচ্ছে বলে তাঁর ধারনা। নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে তারা এমনটা করেছেন বলে তাঁর দাবী।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার এই সব ঘটনা বন্ধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও দাবী সাংসদের। তরুণদের সেনাবাহিনীতে মোতায়েন করার লক্ষ্যে ঘোষণা করা হয় অগ্নিপথ।১৭ থেকে সাড়ে ২১ বছর বয়সী যুবকদের চার বছরের মেয়াদে নিয়োগ করা হবে এবং ২৫ শতাংশ নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়মিত পরিষেবার জন্য রাখা হবে বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছর ৪৬,০০০ অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে। যার পরেই শুরু হয় বিক্ষভ। বিশেষ করে বিহার , উত্তরপ্রদেশ দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে আন্দোলন, বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করে।
ট্রেনে আগুন ধরানো থেকে রাস্তা অবরোধ , ভাঙচুর , কিছুই বাদ যায়নি। এমন সব ঘটনায় কেন্দ্র সরকার নিয়মে কিছু শিথিলতা দিয়েছে। তার পরেও চলছে বিক্ষভ। এদিন সেই প্রসঙ্গেই সাংসদ এমন মন্তব্য করেন।