সোমবার সন্দেশখালিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার কিছুক্ষণ আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুজয় মণ্ডল ওরফে সুজয় মাস্টার। গত লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের রাজনৈতিক ‘গুরু’ হিসেবে পরিচিত তিনি। সন্দেশখালিতে শাসকবিরোধী আন্দোলনের শুরুতে সুজয়ের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তিনিই এই আন্দোলনে মহিলাদের একজোট করার কাজ করেছিলেন।আন্দোলন চলাকালীন তিনি জেলও খেটেছেন। তিনিই সোমবার মমতার সভার আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।
জানা গিয়েছে, সুজয় মাস্টার আগে সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরে তৃণমূলে যোগদান করেন। পেশায় তিনি রাজ্য সরকারি স্কুলের প্যারাটিচার। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্দেশখালির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে জমি দখল সহ মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন এলাকার মহিলারা। এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পরই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সুজয়ের। তিনি শাহজাহানদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মহিলাদের সাহায্য করতে থাকেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আন্দোলনের অন্যতম নেতা হয়ে ওঠেন সুজয়।
সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। রেখাকে রাজনৈতিক পরামর্শ দিতেন এই সুজয় মাস্টার। মনে করা হয়েছিল, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আবহে সন্দেশখালি কাণ্ডের জেরে বঙ্গে বিজেপির ফল ভালো হবে। কিন্তু দেখা যায় সন্দেশখালি যে লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে সেই বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম বিপুল ভোটে জেতেন। যদিও পরে তিনি প্রয়াত হন। তবে এই নির্বাচনে সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রে লিড পায় বিজেপি। আন্দোলনের আবহে মমতা বলেছিলেন, ভোটে জিতলে সন্দেশখালিতে যাবেন। সেই কথা মতো বছর শেষ হওয়ার আগে কথা রাখলেন তিনি।
এবছর সন্দেশখালির নেতা হিসেবে শিরোনামে উঠে আসা সুজয় ফের তৃণমূলে ফিরে এলেন। এবিষয়ে তৃণমূল দাবি করেছে, নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফের দলে ফিরে এসেছেন সুজয়। সন্দেশখালিতে মমতার সভার আগেই তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে তিনি দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন। এদিন যোগদান পর্বে তৃণমূল কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতারা।