মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে একটি ঐতিহাসিক জয়। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় হাজরা উপনির্বাচনে শনিবার বিজয়ী হয়েছেন, যা শাসক দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। সুজয় হাজরা এই জয়টি মেদিনীপুরের জনগণের প্রতি উৎসর্গ করে বলেন, ‘এই জয় মেদিনীপুরবাসীর। বাংলার ৬ উপনির্বাচনে সবুজ ঝড়, ফের বিজেপির ভরাডুবি। মেদিনীপুর বিধানসভাও হাতছাড়া। মেদিনীপুরে ৩৩ হাজার ৯৯৬ ভোটে জয়ী তৃণমূল। উপনির্বাচনে জয়ী হলেন মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা।’
বিধানসভা উপনির্বাচনে ৬ আসনেই জয়ী তৃণমূল। নিজের এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট মমতা ব্যানার্জীর। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘মা-মাটি-মানুষকে বিনম্র চিত্তে জানাই অভিবাদন। আমার অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে মা-মাটি-মানুষকে জানাই প্রণাম, জোহার ও সালাম। আপনাদের এই আশীর্বাদ আমাদের আগামীর চলার পথে আরও সক্রিয়ভাবে মানুষের কাজ করার উৎসাহ দেবে। মানুষই আমাদের ভরসা। আমরা সবাই সাধারণ মানুষ এটাই আমাদের পরিচয়। আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার। আপনাদের আশিস আজীবন হৃদয় স্পর্শ করে থাকবে’।
‘আজকের ফলাফল স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের বিকল্প নেই, আগামী ৫০ বছরেও নয়।’ সুজয় হাজরা দলের অব্যাহত আধিপত্যের প্রতি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যে কোনও প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে লড়লে ৫০,০০০ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়ী হবেন বলে তিনি পূর্বাভাস দেন। উপনির্বাচনের এই ফলাফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের সুদীর্ঘ জনপ্রিয়তা এবং দলের সঙ্গে মাটির দৃঢ় সংযোগের প্রমাণ। সুজয় হাজরার এই জয় তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলকে আরও দৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত প্রদান করবে।