মাধ্যমিক ও উচচমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের সংবাদ কেড়ে নিল এক পরীক্ষার্থীর প্রাণ। রাজ্যের সেরা স্কুল দিনহাটার গােপালনগর হাইস্কুলের মাধ্যমিকের ছাত্রী বর্ণালী বর্মন গতকালই খবর পেয়ে যায় পরীক্ষা বাতিলের। এরপর থেকেই নাকি বিমর্ষ হয়ে পড়ে সে।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সংবাদমাধ্যমে খবরে পরই মাকে জড়িয়ে সে কান্নায় ভেঙে পড়ে। পরীক্ষা বাতিলের খবর শােনার পর সে বাড়ির একটি ঘরে গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়। সোমবার রাত্রিতে সকলের অলক্ষ্যে এই ঘটনা ঘটার পরই পরিবারের লােকেদের নজরে আসে। ততক্ষণে সব শেষ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং বর্ণালীর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বর্ণালীর বাড়ি দিনহাটা আমবাড়ি এলাকায়। রাজ্যের সেরা স্কুলের ছাত্রীর এ কি পরিণতি। বর্ণালীর কাকা প্রসেনজিৎ বর্মন মনে করেন, পরীক্ষা বাতিল বর্ণালীর জীবনে কাল হলাে।
তিনি জানান, স্কুলে বর্ণালী বরাবরই ভালাে রেজাল্ট করতাে। বর্ণালীর বাবা সারদা বর্মন এবং মা মুহুর্মুহু মুছা যাচ্ছেন মেয়ের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায়। ফুল না ফুটতেই অকালেই চলে গেল একটি প্রাণ। ভালাে রেজাল্টের আশায় সে দিন রাত পড়াশােনা করতাে।
এক খবরের প্রভাবেই বর্ণালীর জীবনে নেমে এল যবনিকা তা তারা কোনােভবেই যেন মেনে নিতে পারছেন না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আক্কাস আলি ভারাক্রান্ত মনে জানালেন, বর্ণালী তাদের স্কুলের একজন অন্যতম সেরা ছাত্রী। তার রােল নম্বর ১১।
স্কুলের এই মেধাবী ছাত্রীর আত্মঘাতী হওয়ার খবরে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। স্কুলের শিক্ষক সত্যজিং কারজি বলেন, স্কুলে বর্ণালী একজন ভালাে ছাত্রী হিসেবে পরিচিত। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় একটি লক্ষ্য নিয়ে সে এগােচ্ছিল।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এমনভাবে কেড়ে নিল তাকে। বর্ণালীর এই অকাল বিয়ােগে শুধু স্কুল নয় সমগ্র দিনহাটার শিক্ষাক্ষেত্রে শােকের ছায়া নেমে আসে। চাঞ্চল্য দেখা দেয় গােটা দিনহাটায়।