এবার থেকে ট্যাব সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করতে পারবেন না স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। ট্যাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পড়ুয়াদেরই পোর্টালে আপলোড করতে হবে। পরে তা যাচাইও করতে পারবেন পড়ুয়ারা। তথ্য আপলোডের ক্ষেত্রে কোনও ভুল হলে সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে সেই পড়ুয়াকেই। এতে প্রধান শিক্ষকের কোনও দায়িত্ব থাকবে না। এ কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের পাশাপাশি ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারকে ট্যাব কেলেঙ্কারির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমার মনে হয়, বাইরের দু-একজন রয়েছে। পোর্টাল হ্যাক করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার বা এনআইসি-কে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এনআইসি ইতিমধ্যেই একটা এসওপি তৈরি করেছে এবং কোন কোন হ্যাকার এই কারচুপির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের চিহ্নিত করেছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই অসাধু কাজের সঙ্গে যুক্ত কেউ ছাড় পাবে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ট্যাবের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত ২দিনে মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবারই ট্যাব নিয়ে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, শিক্ষা সচিব সহ আরও অনেকে। ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য শিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যজুড়ে ট্যাবের অর্থ নিয়ে কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে আসতেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এর আগে ট্যাবের আপলোড সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে প্রধান শিক্ষকদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। এই আবহে প্রধান শিক্ষকদের সরিয়ে পড়ুয়াদের হাতেই পোর্টালে তথ্য আপলোডের দায়িত্বভার দেয় নবান্ন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর ও স্কুল শিক্ষা দপ্তর যৌথভাবে কাজ করবে। এই কাজ শেষ হলে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর সবটাই আপলোড করতে পারবে পড়ুয়ারা।