পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারি নিয়ে কলকাতা পুলিশকে ভর্তসনা করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। মামলাকারি চারজন ছাত্রনেতার আবেদনের ভিত্তিতে এদিন ক্ষোভপ্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, ‘পুলিশ আইন রক্ষার দায়িত্বে আছে মানে এই নয়, যে তারা বেআইনি কাজে নিযুক্ত থাকবে।’ নবান্ন অভিযানের দিন এই চার ছাত্রনেতা অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ আগস্ট ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানের ঠিক আগের দিন ওই চারজন ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করে হাওড়া পুলিশ। কিন্তু তার পরের দিন তাঁদের একজনের পরিবারের তরফে হাইকোর্টে মামলা করা হলে পুলিশ সেদিনই বিকেলে বেলুড় থানা থেকে ছেড়ে দেয় তাঁদের।
মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, ‘যদি এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে তাহলে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দিলো কীসের ভিত্তিতে? নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে অথচ কোনও প্রসেস মানা হয়নি। তাঁরা কেউ দাগি অপরাধী নয়। গ্রেপ্তারের কারণও স্পষ্ট নয়।”
রাজ্যের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল নবান্ন অভিযানের দিন তারা বড়সড় কোনও অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে। সেই আশঙ্কার ভিত্তিতেই ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ঠিক কোন সূত্র মারফত পুলিশ এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেল? কী অভিযোগ পেল? এদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও বেআইনি ঘটনা যদি থাকে, সেই তথ্য কোথায়? যদি পুলিশের কাছে আসা তথ্য বিশ্বাসযোগ্য না হয় তাহলে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘণ্টা আটকেই রাখা হল কেন? এই ভাবে গ্রেপ্তার করা যায় না। আর গ্রেপ্তার করলেও এই ভাবে ছাড়া যায় না।’
আগামীকাল এই মামলার শুনানি হবে বলে নির্দেশ বিচারপতি ভরদ্বাজের।