• facebook
  • twitter
Thursday, 20 February, 2025

ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি, পড়ুয়াকে বরখাস্তের দাবি

ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নিয়ে বিতর্ক। অভিযোগ, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্রের দেখিয়ে ভর্তি হয়েছেন এক ছাত্র।

ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নিয়ে বিতর্ক। অভিযোগ, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্রের দেখিয়ে ভর্তি হয়েছেন এক ছাত্র। আর এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি ওই পড়ুয়ার ভর্তি বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যভবন ও ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্রের খবর, পরমব্রত রায় নামে এক পড়ুয়া ২০২৩ সালে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। নিটে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর সাব-ডিভিশনাল অফিস থেকে ২০২৩ সালের ৫ জুন পরমব্রত রায় তফসিলি জাতির শংসাপত্র সংগ্রহ করেন। কিন্তু মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ফের তিনি ওই অফিস থেকে তফসিলি উপজাতির শংসাপত্র সংগ্রহ করেন। সেই শংসাপত্রের ভিত্তিতেই ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন তিনি।

এদিকে ২০২৪ সালের ৯ জুলাই ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার বিভাগের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, পরমব্রতর তফসিলি উপজাতির শংসাপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও ওই সার্টিফিকেটের ভিত্তিতেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ আদিবাসী সমিতির। তাদের দাবি, জাতিগত শংসাপত্র বাতিল হওয়ার ওই পড়ুয়ার ভর্তিও বাতিল করতে হবে। আদিবাসী সমিতির প্রশ্ন, এভাবে জাতিগত শংসাপত্রের অপব্যবহার হলে প্রকৃত তফসিলি জনজাতির ছাত্রছাত্রীরা কোথায় যাবে?

ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসরউৎপল দাঁ জানান, অভিযোগ আসার পরই বিষয়টি স্বাস্থ্যভবন ও ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে জানানো হয়েছে। যেমন নির্দেশ আসবে তেমনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপের কথা জানানো হয়নি।