• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দিল্লিতে অখিলেশ-অভিষেক বৈঠক নিয়ে জোরদার জল্পনা

 দিল্লি, ৬ জুন –  রাজনীতির অন্দরমহলে ঘুরে ফিরে বহুবার শোনা গেছে, ইন্ডিয়া-র মধ্যে গড়ে উঠেছে আরও এক ‘ইন্ডিয়া’। যে ‘ইন্ডিয়া’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বেশি ভরসা করে এসেছে।  অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উদ্ধবের মতো নেতারা  রয়েছেন  এই ইন্ডিয়ায়। এর আগেও ইন্ডিয়া জোটের বিভিন্ন বৈঠকের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার আলাদা বৈঠক করেছেন অখিলেশ-কেজরিওয়াল-উদ্ধবরা। কার্যত একই ছবি দেখা যাচ্ছে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ্যে

 দিল্লি, ৬ জুন –  রাজনীতির অন্দরমহলে ঘুরে ফিরে বহুবার শোনা গেছে, ইন্ডিয়া-র মধ্যে গড়ে উঠেছে আরও এক ‘ইন্ডিয়া’। যে ‘ইন্ডিয়া’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বেশি ভরসা করে এসেছে।  অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উদ্ধবের মতো নেতারা  রয়েছেন  এই ইন্ডিয়ায়। এর আগেও ইন্ডিয়া জোটের বিভিন্ন বৈঠকের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার আলাদা বৈঠক করেছেন অখিলেশ-কেজরিওয়াল-উদ্ধবরা। কার্যত একই ছবি দেখা যাচ্ছে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসার পরেও। বুধবার ইন্ডিয়া বৈঠকের পরেও তাই আলাদা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক এক করে বৈঠক সেরে নিলেন বাকি জোট শরিক নেতৃত্ব।
 
সমাজবাদী পার্টি-র নেতা অখিলেশ সিং যাদবের বাড়িতে গিয়ে বুধবার রাতেই বৈঠক করেন অভিষেক। টানা ৪৫ মিনিট কথা হয় তৃণমূল কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির দুই শীর্ষ নেতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বৈঠকে বসেন আম আদমি পার্টি-র রাঘব চাড্ডাদের সঙ্গে।বৃহস্পতিবার সকালে অখিলেশ যাদবের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১০টা নাগাদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক পৌঁছন অখিলেশের বাড়িতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনও। অভিষেকদের স্বাগত জানাতে বাড়ির প্রবেশদ্বার পর্যন্ত এগিয়ে আসেন অখিলেশ। কাঁধে হাত রেখে নিয়ে যান বাড়ির ভিতরে। এর পরে অখিলেশের বাড়িতে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে ‘ইন্ডিয়া’ দুই অন্যতম প্রধান শরিকের শীর্ষ নেতার বৈঠক।  আবার অভিষেক ফেরার পর তাঁর বাসভবনে হাজির হন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা।
 

‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের পরেই অখিলেশ এবং অভিষেকের এই বৈঠক ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির মধ্যে সমান্তরাল কোনও সমীকরণ তৈরি হচ্ছে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, বিরোধী জোটের বৈঠকের পরও ইন্ডিয়ার অন্যতম শরিক দুই দল সমাজবাদী পার্টি এবং তৃণমূলের শীর্ষ নেতার আলাদা করে এই সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ। আবার একাংশের মতে, বুধবারের বৈঠকেই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আপাতত কেন্দ্রে সরকার গড়া তাদের লক্ষ্য নয়। তার বদলে একতার সঙ্গে বিরোধী হিসাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে এবং তাঁদের জন্য দাবি আদায় করে আনবে। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, এই বৈঠক নেহাতই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’।

উল্লেখ্য, বাংলায় গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করার পর দিল্লির রাজনীতিতে গুরুত্ব বেড়েছে তৃণমূলের। দলনেত্রীও নিজে দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে না গিয়ে এগিয়ে দিয়েছেন অভিষেককে। বুধবার খাড়গের বাসভবনে ইন্ডিয়া  জোটের বৈঠকেও বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বৈঠক শেষে সবার আগে বেরিয়ে আসেন খাড়গে। খানিক পিছনেই ছিলেন অভিষেক। তাঁকে দেখে পিঠ চাপড়ে হাত মিলিয়ে অভিনন্দন জানান সুপ্রিয়া সুলে, ওমর আবদুল্লারা। সেই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে।

সূত্রের খবর, জোট শরিকদের মধ্যে কংগ্রেসের পরে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে সবচেয়ে বেশি আসন এনে দিয়েছে অখিলেশের দল সমাজবাদী পার্টি। লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে ৩৭টি আসন জিতেছে তারা। তারপরেই রয়েছে ২৯টি আসন পাওয়া তৃণমূল। সংখ্যার বিচারে সমাজবাদী পার্টি ও তৃণমূল কংগ্রেস বাকিদের টেক্কা দিয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে বারবার লড়াইয়ে এই দুই রাজ্যের বিরোধী শিবির বারবার হেনস্থার শিকার হয়েছে। তাই দুই নেতার এদিনের বৈঠককে বলা হচ্ছে ‘পাওয়ার অফ সিক্সটি সিক্স’। দেশের রাজনীতির নজর এখন সেই ‘৬৬-র শক্তি’-র দিকেই। আগামী কয়েকদিনে ইন্ডিয়া জোটের সমীকরণ কিছু বদলায় কিনা তা বলে দেবে সময়।