• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

সজাগ থাকুন, ইভিএম কারচুপিও হতে পারে : মমতা

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দু'দিন আগেই নির্বাচনী প্রচার সভা শেষ করতে হবে। নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে শুক্রবারের সভা বৃহস্পতিবার দুপুরেই করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমাে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: IANS)

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দু’দিন আগেই নির্বাচনী প্রচার সভা শেষ করতে হবে। নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে শুক্রবারের সভা বৃহস্পতিবার দুপুরেই করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমাে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মথুরাপুর লােকসভার প্রার্থী দু’বারের বিদায়ী সাংসদ চৌধুরি মােহন জাটুয়ার হয়ে সভা করলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রচার সভা অঞ্চল মন্দিরবাজার থানা এলাকার আচনা মাঠে। বুধবার রাত দশটাতেই ঠিক হয় সভা হবে। এদিন সভার প্রধান বক্তা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন বিজেপির কমিশন হয়ে গেছে। একদিন আগে নয়, দুদিন আগেই প্রচার শেষ করতে হবে। তাই হােক। আমাকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। আমি আজই সব জায়গায় সভা ও র‍্যালি করব।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত জনতাকে জানান, এই ভােট নিয়ে চলছে অনেক কাণ্ড। শুনেছি ইভিএম মেশিন চেঞ্জ করা হতে পারে। বঙ্গ মহিলাকে সজাগ থাকতে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বুথের সামনে কী হচ্ছে, তার ছবি তুলে রাখতে হবে। মহিলাদের পাশাপাশি জয়হিন্দ বাহিনীকেও সজাগ থাকতে বলেছেন দলনেত্রী।

এদিন প্রধানমন্ত্রীর নাম না করেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উনি একজন মিথ্যেবাদী। এত মিথ্যে কথা কেউ বলেন না। ওরা বলছে, বিদ্যাসাগরের ভাঙা মুর্তি ওরা গড়ে দেবে। যাদের মূর্তি ভাঙা কাজ, তারা গড়ে দেবে। ওরা ত্রিপুরায় স্ট্যাচু ভেঙে দিয়েছিল। এবার এখানে করল। মুর্তি সত্যি কারা ভেঙেছে প্রমাণ করাে, না হলে জেলে দেবো। এরা যা করছে সমাজ মেনে নেবে না। এখন পর্যন্ত কোনও কথা রাখেনি। বলেছিল পাঁচ বছরে দশ কোটি চাকরি দেবে। গ্যাস-ডিজেল-পেট্রোল সবকিছুর দাম বেড়েছে। এদের সময়েই বারাে হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচার সভার মাঠ নিয়েও এদিন তীব্র সমালােচনা করেন মমতা। বলেন, চিটফান্ড সংস্থার মালিকের মাঠে সভা করেছেন। যে সংস্থা নিয়ম না মেনে লাইসেন্স না নিয়ে কোটি কোটি টাকা বাজার থেকে তুলেছে। বুধবার রাতেই বিষয়টি জেনেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং স্থানীয় থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন এ বিষয়ে তদন্ত করতে।

নিজের সভাহুল আনার মাঠ থেকেও জানতে চান তাঁর সভার জন্য জায়গার পারমিশন নেওয়া হয়েছে কিনা। দলীয় কর্মীরা জানান, নেওয়া হয়েছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর জিজ্ঞাসা, কী করে প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগিয়ে বিজেপির প্রচার সভার ব্যবস্থা করেছে চিটফান্ড সংস্থা। এরা বােধহয় কোটি কোটি টাকা তুলছে আর বিজেপিকেও ভাগ দিচ্ছে।

এ বিষয়ে সভাস্থলের সংস্থার কর্ণধার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ই সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, এই মাঠে তৃণমুল কংগ্রেসও একাধিকবার সভা করেছেন। এই সংস্থা নিয়ে প্রশ্ন কেউ তুলতেই পারে। এটা নিয়ে কিছু বলার নেই। তিনি বলার নেই বললেও সংস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়ে গেছে।

জানা গেল, মাইক্রোফিনান্স সংস্থাটি বাম আমল থেকে চলছে। শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উন্নয়নে নানা পরিকল্পনার কাজ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, কুলপি বন্দর তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়ােগে তৈরি হয়ে গেলে অনেক যুবক চাকরি পাবে। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মমতার বার্তা, আপনারা যাঁরা বিজেপিতে গেছেন, তাঁরা চলে আসুন। আর ওরা যদি কেউ টাকা নিয়ে ভােট দিতে বলে, তবে আম খেয়ে আঁটি ফেলে দিন। ভােট দিন জোড়া ফুলে। মনে রাখবেন বিজেপি দল দেশের টাকা লুঠ করেছে। নােট বাতিল করেছিল আরবিআই-এর অনুমতি না নিয়ে। দেশের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছিল। দেশকে সবদিক দিয়ে সুরক্ষিত রাখতে হলে, উন্নয়ন করতে হলে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্ত করুন। জোড়া ফুলে ভােট দিন।