দাবিপূরণ না হলে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন। সাতদফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তাঁরা। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর কাছে তাঁরা একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলেন। তবে দাবি পূরণ না হওয়ায় সম্প্রতি তিন দিনের ধর্মঘট পালন করেছে সংগঠনটি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণ বন্ধ-সহ সাত দফা দাবিতে ১১ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট হয়েছিল। পুজোর আগে এই তিন দিনের ধর্মঘটের ফলে কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় জিনিসপত্রের বাজারমূল্যও হয় ঊর্ধ্বমুখী। ট্রাক মালিকদের ডাকা এই ধর্মঘটে সংহতি প্রকাশ করে দেশের অন্যান্য রাজ্যের কয়েকটি সংগঠনও।
অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস-ও এই ধর্মঘট এবং ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচিকে সমর্থন জানায়। অন্ধ্রপ্রদেশের দুটি সংগঠনও ওই সময় পশ্চিমবঙ্গে ট্রাক না পাঠিয়ে সংহতি প্রকাশ করে। এর ফলে রাজ্যে সবজি ও ফলের পাইকারি বাজারে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। নির্মাণ সামগ্রীর সরবরাহেও ব্যাঘাত ঘটে।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, ‘পথে পুলিশের হয়রানি, সিভিক ভলান্টিয়ারদের অনিয়ম, রাজ্যের বালি খাদানগুলিতে ভূমি রাজস্ব আধিকারিকদের অত্যাচার এবং বিভিন্ন ওয়ে ব্রিজে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে আমরা এই ধর্মঘট পালন করেছি। দাবি পূরণ না হলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবো।’ পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার পক্ষপাতি নিয়ে বলেন, ‘ধর্মঘট বা বন্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। পরিবহণ দপ্তর সবসময় আলোচনা করতে প্রস্তুত।’