তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ব্লকে ব্লকে পালিত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী। এবার ভগবানগোলা ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো। স্থানীয় ভগবানগোলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই বিজয়া সম্মিলনীতে ব্লকের ৩৬ টি পুজো কমিটি ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদদের সংবর্ধনা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সাংসদ আবু তাহের খান, ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার, লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলি, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি মইনুল হাসান, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বহরমপুর -মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আসিফ ইকবাল প্রমুখ সহ দলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পরিবহনমন্ত্রী। এক প্রশ্নের উত্তরে স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা তো দেখতেই পাচ্ছি, ২০১১ সালে সিপিএম পার্টি বাংলা থেকে হেরে যাওয়ার পর প্রতিটা নির্বাচনে আরও বেশি করে পিছিয়েছে। পিছতে পিছতে সিপিএম পার্টি আজকে শূন্যে পরিণত হয়েছে। এখন সিপিএম পার্টির যারা কর্মী, যাঁরা নেতৃত্বে আছেন, তাঁদের একটাই কাজ – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আমাদের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো এবং নানা ধরনের নোংরা কথা বলা। এটাই সিপিএম পার্টি করছে। এটাও আমরা দেখে আসছি, সবসময় কুৎসা প্রচার করে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করার কাজটা সিপিএম পার্টি মূলত করে।
আরজি কর কাণ্ড বলুন বা যেখানেই বলুন, যে অযৌক্তিক ভিডিও তৈরি হয়েছিল, সে সবই কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। এখন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা তার দায় নেবে, কি নেবেন না, জানি না। তবে যে প্রোফাইল থেকে এটা করা হচ্ছে সেটা মীনাক্ষীর ব্যক্তিগত হতে পারে, অথবা সিপিএম পার্টির সমর্থকদের হতে পারে। কারণ, যে কালচারটা ওদের দলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে কুৎসা, অপপ্রচার করা, কুৎসিত কথা বলা, তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা সেই পথেই হাঁটছে।’