তখনও অমিত শাহ’র জনসভা, পথসভা রাজ্যের ধুন্ধুমার ঘটেনি। তার আগেই বিকেল চারটে নাগাদ প্রেস ক্লাবে নরেন্দ্র মােদি এবং অমিত শাহকে ফ্যাসিস্ট অপশক্তি বলে তােপ দাগলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা।
এদিনের জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন কবীর সুমন, শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায়, শুভাপ্রসন্ন, শাঁওলী মিত্র, প্রতুল মুখােপাধ্যায়, ডা. সুকুমার মুখােপাধ্যায়, হােসেনুর বহমান, গৌতম ঘােষ, আবুল বাশার, অভিরূপ সরকার, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুবােধ সরকার, অরিন্দম শীল প্রমুখ।
ভােট মানেই শাসক বিরােধীদের বাকযুদ। কিন্তু গত কদিনে নির্বাচনী জনসভায় এসে মােদি-শাহ যেভাবে বাংলা তথা বাঙালিকে আক্রমণ করেছেন, তার নিন্দা করেছেন এই বুদ্ধিজীবীরা। বাংলাকে ‘কাঙাল’, বাঙালিকে ‘উইপােকা’, ‘ঘুসপেটিয়া’ বলে অপমান করেছেন মােদি-শাহ। এই অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বুদ্ধিজীবীরা বিজেপি’র রাজনৈতিক ব্যর্থতাগুলি তুলে ধবেন। এই তালিকায় ছিল নােটবন্দি, অপরিকল্পিত জিএসটি চালু, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার, সংখ্যালঘু ও দলিতদের ওপর অত্যাচার, অসমে এনআরসি চাল ইত্যাদি।
রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে ফ্যাসিস্ট কায়দায় দখল করার অপচেষ্টা চলছে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই দেশের সােনকে মােদি সেনা বলা হচ্ছে। অথচ সেনাবাহিনীর বেতন ও পেনশন সমস্যা মেটানাের বিন্দুমাত্র করছে না মােদি সরকার। বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্য, যে কোনও ফ্যাসিস্ট শাসক চায় জনগণের ওপর তীক্ষ্ণ নজরদারি চালাতে। মােদি-শাহ সেই পথেই এগােচ্ছে। তাই মুক্তচিন্তার বাহক, প্রতিবাদী বিদ্বজ্জনেরা খুন হচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছ বিচারপতি লােয়া, কালবুর্গি, দাভােলকর, পানসারে, গৌরী লঙ্কেশের নাম।
বুদ্ধিজীবীদের আশঙ্কা মােদি-শাহ’রা পরাস্ত না হলে আগামীদিনে নির্বাচন ব্যবস্থাকেই চিরদিনের মতো বন্ধ করে দেবে তারা। এই ফ্যাসিস্ট অপশক্তিকে রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক সংগ্রামকে অভিনন্দন জানিয়ে, তাঁর দলকেই জয়যুক্ত করার আবেদন রেখেছেন বুদ্ধিজীবীরা।