নিজস্ব প্রতিনিধি: বিদ্যুৎচালিত গাড়ির বিষয়ে এবার বড়ো ঘোষণা রাজ্য সরকারের। লোকসভা নির্বাচন মিটতেই উন্নয়নমূলক কার্যের সূচনায় হাত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের নতুন পদে নিয়োগ থেকে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়, সব রকমের উন্নয়নমূলক ভাবনা রয়েছে মমতার তালিকায়। নির্বাচনের পর বুধবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিদ্যুৎচালিত গাড়ি কিনলে কর এবং তার নথিভুক্তিকরণের বা রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আরও এক বছর ছাড় দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিদ্যুৎচালিত গাড়ি কিনলে দু’বছর কর এবং নথিভুক্তিকরণে ছাড় দেওয়া হবে। তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরেই। বুধবার সেই মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। অর্থাৎ ২০২২ সালে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেটাই আরও একবছর সম্প্রসারিত করা হল।
অনেক দিন ধরেই রাজ্য সরকার পেট্রল-ডিজেলের বদলে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি চলাচল বৃদ্ধি করার বিষয়ে পরিকল্পনা করছে। তার একটাই কারণ, পরিবেশ দূষণ কমানো এবং পেট্রোলিয়ামের ভান্ডার সংরক্ষণ। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে, ‘স্থিতিশীল উন্নয়ন’। এই উন্নয়নের পথেই হাঁটছে রাজ্য সরকার। পরিবহণ দফতরও চায়, বিদ্যুৎচালিত সরকারি বাস অধিক সংখ্যায় রাস্তায় নামাতে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বিদ্যুৎচালিত গাড়ি কিনলে কর এবং নথিভুক্তকরণে ছাড়ের মেয়াদ এবার বৃদ্ধি করল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য মন্ত্রীসভার এহেন সিদ্ধান্তে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির প্রতি ঝুঁকবে বাংলার মানুষ, এমনটাই মনে করছে পরিবহন দফতর।
পাশাপাশি, গত দু’বছরের সফলতা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি কেনার পরিমান বেড়েছে, যা রাজ্যের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের একটি ইতিবাচক দিক। রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে বলেন, “পরিবেশবান্ধব গাড়ি হিসেবে আমরা ই-ভেকেল বা বিদ্যুৎচালিত গাড়িকে প্রমোট করছি। গত দু’বছর বিদ্যুৎচালিত গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাকে কোনো কর দিতে হত না। তার মেয়াদ শেষ হতেই রাজ্য সরকার আবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আরও এক বছর বিদ্যুৎচালিত গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হবে।
আমাদের রাজ্যে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির যা সংখ্যা তা ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি। রাজ্য সরকার অথবা বেসরকারি উদ্যোগেও সবথেকে ই-ভেকেল বেশি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেই। এভাবেই রাজ্য সরকার পরিবেশবান্ধব গাড়ির উপর জোর দিয়েছে এবং এই গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।”